বিজয়ের বিজয়ী ইনিংসে স্বপ্নভঙ্গ সোনাইর, চ্যাম্পিয়ন সংঘ
ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৩ মার্চ : ফাইনালে বলতে গেলে একজন খেলোয়াড়ের কাছে স্বপ্ন ভঙ্গের ব্যর্থ মনোরথ নিয়ে ফিরলো সোনাই। তিনি হলেন, বিজয় বর্মণ (বলাই)। মাত্র ৮২ বলে ১৭৪ রান করেন তিনি। মারেন ১৩ টি চার এবং ১৬ টি বিশাল ছক্কা। নির্ধারিত ৩০ ওভারের শেষ বলে তিনি আউট হয়ে ফেরেন। ফলে বিজয়ের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটে ২৭৫ রান করে বিজয়ী সংঘ। তাই বিজয়ের বিজয়ী ইনিংসে এ ডিভিশনে এবারে আর ফেরা হলো না সোনাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের। তবে ফিরল সুবর্ণ জয়ন্তী পার করা বিজয়ী সংঘ। এক সময় শিলচরের ক্রিকেটে প্রথম সারির তিন -চারটি ক্লাবের মধ্যে বিজয়ী সংঘের নামও মুখেমুখে উচ্চারিত হতো। তবে দিনকাল পাল্টে যেতেই তারা পিছিয়ে পড়তে থাকে। এ ডিভিশন ভেঙে সুপার এবং এ ডিভিশন করা হয়। কিন্তু এই দুইটি ডিভিশনেও জায়গা ধরে রাখতে পারেনি বিজয়ী সংঘ। নেমে যায় বি ডিভিশনে। সেখান থেকে আবার উন্নতি ঘটলো তাদের। এবার সোনাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে বি ডিভিশনের ফাইনালে ১০১ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে ২০২৫-২৬ মরশুমে এ ডিভিশনে খেলা নিশ্চিত করলো বিজয়ী সংঘ।
এদিন বিজয়ী সঙ্ঘের বিক্রম রায় ২৭, পাপলু লস্কর ২৪, জাহিদ লস্কর ১১ রান করেন। সোনাই দলের বৌলারদের মধ্যে আজাদ হুসেন লস্কর (৪-২১), শাহিদ চৌধুরী (৩-৪১) এবং সাহার বড়ভূইয়া (২-৩৫) একাধিক উইকেট নিয়েছেন।

জবাবে সোনাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ২২.১ ওভারে করে বিজয়ের-এর সমান, অর্থাৎ ১৭৪ রান। তারা অলআউট হয়ে যায়। ১১৫ রানে ৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আবিদ হাসান (৪৩) ও শাহিদ চৌধুরী (৪০) বাকি রান যোগ করেন। একই স্কোরে উভয়ে আউট হয়ে ফিরলে দলের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। এছাড়া আশরাফুল আলম লস্কর ৩৯ এবং প্রীতম বর্ধন ৩৩ রান করেন। বিজয়ী সংঘের বোলারদের মধ্যে প্রিয়ত্তম দাস তিনটি, শাহবাজ আলম বড়ভূইয়া এবং বিজয় বর্মন দুটি করে উইকেট নেন। শুধেন্দু দাস স্মৃতি বি ডিভিশন ট্রফি সহ চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার নিয়ে গেল বিজয়ী সংঘ।

খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি সহ নগদ ১৫ হাজার টাকা ও রানার্স আপ দলকে ১০ হাজার টাকার পুরস্কার তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা সহ সাবেক সভাপতি বাবুল হোড় ও স্পনসরার পরিবারের পক্ষে অনুরাধা পাল ও সুদীপ্তা পাল। এদিন ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন বিজয় বর্মণ। সেরা বোলার হন সোনাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আজাদ হোসেন লস্কর।
সোনাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জে এম সাহার লস্কর জানান, দিনটি বিজয়ী সঙ্ঘের ছিল। তাই তাদেরকে হারতে হয়েছে। রমজান মাসে প্রথমে ফিল্ডিং করে ছেলেরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। পরে ভালোভাবে ব্যাট করতে পারেননি। এও বলেন, তাদের দল বিজয়ী সঙ্ঘের পুরো দলের বিরুদ্ধে হারেনি, হেরেছে একজনের কাছে। তিনি বিজয় বর্মন।