মহালয়ার ভোরে শিলচরের দু’টি ঘাটে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
বরাক তরঙ্গ, ১৪ অক্টোবর : আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠল আলোর বেণু…আজ মহালয়া৷ পিতৃপক্ষের অবসান৷ দেবীপক্ষের সূচনা। আগমনীর গানে অতীতকে স্মরণ করে মায়ের আসার অপেক্ষায় প্রহর গোনা শুরু। আর দুই পক্ষের সন্ধিক্ষণই মহালয়া। ঊষা লগ্নে গ্রাম বরাকের প্রতিটা ঘরে বেজে উঠল বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী
এ দিকে, প্রতি বছরেরই মতো এবারও শিলচর শহরে মহালয়ার ভোরে ভিড় ছিল লক্ষণীয়। সদরঘাট সেতু ও অন্নপূর্নাঘাট সেতুতে দর্শণার্থীদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে অন্নপূর্নাঘাটের নয়া সেতু এবার সদরঘাটের ভিড় কিছুটা কমালো। এদিন দুর্গা দেবীর আগমনীর বার্তা শিলচর শহরে আনন্দমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
পূর্বপুরুষদের স্মরণে বরাক নদীর নানা ঘাটে পুরোহিতদের মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে তর্পণ করতে দেখা যায় শ্রদ্ধাভরে। আবার আনন্দে ধামাইল, বাংলা গানের আসরও চোখে পড়ে। সব মিলিয়ে আনন্দমুখর হয়ে উঠে বরাক বাংলার প্রধান শহর। দর্শনার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন সংগঠন পানীয়জল সহ প্রাতঃ ভোজনের ব্যবস্থা করে।
শিলচর শরের প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ ও সিআরপিএফ বাহিনী মোতায়েন ছিল। যাতে মহালয়ার দিনে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেবিষয়ে প্রশাসনও সজাগ ছিল।
প্রতিবেদক : বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।