বরাক তরঙ্গ, ১০ ডিসেম্বর : লোমহর্ষক কাণ্ড! কন্যা ও স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে টিয়ক এলাকাজুড়ে। ছয় বছরের কন্যা ও স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের পর নিজের কন্যার কাটা মাথা হাতে নিয়ে রক্তাক্ত মেঝেতে বসে থাকতে দেখা যায় ঘাতক বাবাকে। টিয়কের বলমা মরণগাঁওয়ে এই শিহরণ জাগানো ঘটনাটি ঘটে।
সকালে ঘরের ভেতর রক্তে ভেসে থাকা অবস্থায় মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। একই ঘরে রক্তে মাখা অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায় পরিবারের কর্তা কল্যাণ কোঁওয়কে। প্রথমে স্থানীয়রা এটি দুষ্কৃতীদের কাজ বলে সন্দেহ করেছিলেন। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ নিশ্চিত হয়—এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কেউ নয়, স্বয়ং স্বামী ও বাবা কল্যাণ কোঁওরই অভিযুক্ত।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে অভিযুক্ত কল্যাণ নিজের ছোট্ট মেয়েকে শিরচ্ছেদ করে হত্যা করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে, প্রায় ২টা নাগাদ, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তের বাড়ি থেকে চুনচুনী কোঁওর নামে ওই মহিলার হৃদয়বিদারক চিৎকার শুনতে পান। ভয়ঙ্কর কিছু ঘটেছে বলে আশঙ্কা করে প্রতিবেশীরা বাড়ির বাইরে জড়ো হন। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝতে এগিয়ে গেলে অভিযুক্ত কল্যাণ সবাইকে “কিছু হয়নি” বলে ফিরিয়ে দেন।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে।


