সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অনুমতি নেওয়া ও সেবা কর, প্রতিবাদ শিলচরে

বরাক তরঙ্গ, ১ ডিসেম্বর : অসম সরকার রাজ্যে যে কোন ধরনের মিছিল, মিটিং, পথনাটক, নাচ, গান, আবৃত্তি পরিবেশন ইত্যাদি সহ ধর্মীয় ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে অনুমতি নেওয়া ও সেবা কর প্রদানের যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শিলচরের ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। শুক্রবার সমাজকর্মী হিল্লোল ভট্টাচার্যের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী কার্যসূচীতে প্রথমেই উদ্দেশ্য ব্যখ্যা করে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী রাহুল দাসগুপ্ত। তিনি বলেন, পরাধীন ভারতে বৃটিশ সরকার সাংস্কৃতিক চর্চার যেটুকু সুযোগ দিত তাও বর্তমানে কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে সারা বছর বড় বড় সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি ছোট ছোট ক্লাব, সংস্থা, সংগঠন নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজেরা এবং বিশেষ ক্ষেত্রে জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সেগুলোর আয়োজন করা হয়। সরকার সেগুলো কার্যত বন্ধ করতেই একের পর এক প্রশাসনিক বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি সবাইকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে আহ্বান জানান।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রূপম সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষে নিখিল পাল, দশরূপক ক্লাবের চিত্রভানু ভৌমিক, কোরাস এর পক্ষ থেকে প্রদীপ নাথ, সমকাল সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষে গোরা চক্রবর্তী, দিশারী এর পক্ষে সব্যসাচী পুরকায়স্থ, ভারতের গণনাট্য সংস্থার পক্ষে পরিতোষচন্দ্র দত্ত, ভাবিকাল এর পক্ষ থেকে পল্লব ভট্টাচার্য, ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি’র পক্ষে অরিন্দম দেব, চেতনা এর পক্ষে আশিস ভৌমিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সংস্থার সম্পাদক আইনজীবী অজয় রায়, নয়া গ্রপের পক্ষে পাপিয়া সিকদার, বাচিক শিল্পী মনোজ দেব, পূর্বাশা এর রত্নজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিমা দাস পাল প্রমুখ। বিক্ষোভে এছাড়াও সামিল হন দেবদ্রিতা চৌধুরী, রাজু চৌধুরী, মার্চ ফর সায়েন্স এর কমল চক্রবর্তী, কায়ানট এর পক্ষে দেবজ্যোতি ব্যানার্জি, আইপিটিএ এর দীপক চক্রবর্তী ও সারস্বত মালাকার, বিদ্যুৎ দেব, সুর মন্দিরের ঋষিকেশ চক্রবর্তী, ডিওয়াইএফআই এর দেবজিৎ গুপ্ত, সঙ্গীতা দেব, খাদেজা বেগম লস্কর, মন্টু শুক্লবৈদ্য, বাদলকুমার ঘোষ, ডা. তাপসকুমার দাস, জয়ন্ত বিকাশ পুরকায়স্থ, বিজয়া কর, সীমান্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ।

বিক্ষোভ শেষে এক প্রতিনিধি দল জেলা আয়ুক্ত মারফত একটি স্মারকপত্র মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রদান করে। স্মারকপত্রে উল্লেখ করা হয় যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক আন্দোলন ও অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে যে সেবা কর আরোপ করা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তা হলে রাজ্যের সুষ্ঠু সামাজিক, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হবে।

Author

Spread the News