উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে আত্মহত্যা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের

১৭ সেপ্টেম্বর : দেশের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি, এনআইটি এবং আইআইএম সহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। আত্মহত্যার সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়েছে গত পাঁচ বছরের হিসেবে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২১ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন।

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এখনও পর্যন্ত আত্মঘাতী হয়েছেন ২০ জন পড়ুয়া। ২০২২ সালে মোট সংখ্যাটা ছিল ২৪। এর আগে ২০২১ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন ৭ জন পড়ুয়া। ২০২০ সালেও আত্মঘাতী পড়ুয় সংখ্যা ছিল ৭। ২০১৯ সালে আত্মত্যা করেছিলেন ১৯ জন পড়ুয় এবং ২০১৮ সালে আত্মঘাতী পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ২১।

গত ২৮ অগস্ট একই দিনে কোটায় জোড়া পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। কোচিং সেন্টারের ছয় তলা থেকে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেন এক পড়ুয়া। অন্য পড়ুয়া ভাড়া বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। দুই পড়ুয়ার সেন্টারগুলিকে আগামী একমাস টেস্ট পরীক্ষা না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কোটার জেলাশাসক ও পি বানকার। চলতি বছরের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত ২৪ জন পড়ুয়া কোটায় আত্মঘাতী হয়েছেন। 

করোনা অতিমারী শুরু হওয়ার আগে ২০১৮ সালে ১২ পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছিল। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে কোটায় ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়তে আসা ১৫ জন ছাত্র আত্মহত্যার পথে বেছে নিয়েছিল। চলতি বছরের প্রথম আট মাসেই ২৩ জনের প্রাণ গেল। অর্থাৎ আত্মহত্যার সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। কোটায় যেভাবে পড়ুয়াদের আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন প্রশাসন।

সংসদে শিক্ষা মন্ত্রকের জমা দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি, এনআইটি এবং আইআইএম সহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মোট ৯৮ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন। সর্বাধিক সংখ্যক আত্মহত্যা হয়েছে আইআইটি-র
ক্যাম্পাসগুলিতে। দেশের বিভিন্ন আইআইটি- তে মোট ৩৯ জন আত্মঘাতী হয়েছেন গত পাঁচ বছরে। তারপরেই তালিকায় আছে এনআইটি। সেখানে আত্মহত্যা করেছেন ২৫ জন পড়ুয়া। কেন্দ্ৰীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও আত্মঘাতী হয়েছেন ২৫ জন। এছাড়া আইআইএম-এ আত্মহত্যা করেছেন ৪, আইসার-এ ৩, আইআইআইটি-র ২ পড়ুয়া।

Author

Spread the News