নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেনি : সালমান চৌধুরী
বরাক তরঙ্গ, ২৪ সেপ্টেম্বর : যে শাসন ব্যবস্থা মানুষে মানুষে বিভেদের প্রাচীর গড়ে তুলে, ধর্ম ও জাতপাত ভিত্তিক বিভাজনের মধ্য দিয়ে সমাজ তথা রাষ্ট্রকে বহুধাবিভক্ত করে, এটা দীর্ঘদিন চলতে পারে না। পৃথিবীর কোনও দেশেই স্বৈরশাসন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনি। রবিবার শিলচর প্রেস ক্লাবে “টুডে’জ গেস্ট” অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রাক্তন বন সংরক্ষক তথা লেখক, আইনজীবী, সমাজচিন্তক ড. সলমান উদ্দিন চৌধুরী এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে অগ্রগতির পথ পুরোপুরি রুদ্ধ। বিকাশের যে জয়ঢংকা বাজানো হচ্ছে, বাস্তবের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। দেশের একাংশ নাগরিককে অন্যদের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে। মণিপুর রাজ্যে বহমান ঘটনাপ্রবাহ এরই একটা পরিণতি। এ ধরনের কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে রাজ্যে। কেন্দ্রে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার আগে বলা হয়েছিল, সুইস ব্যাংকে কালো টাকার পরিমাণ পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা। নয় বছরে এর পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে পঁচিশ লক্ষ কোটি টাকায়। পাঁচ গুণ বর্ধিত কালো টাকায় এখানকার শাসকগোষ্ঠীর কি যোগ নেই, প্রশ্ন সলমানের।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদানের প্রসঙ্গে তিনি জানান, ছাত্রাবস্থায়ই এনএসইউআই-র ব্লক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। কংগ্রেস তাঁর রক্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যদিও বন বিভাগে চাকরিজীবনে তিনি নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই কাজ করেছেন। অবসর গ্রহণের পর কংগ্রেসে যোগ স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই না।
সলমান উদ্দিন চৌধুরী এও যোগ করে বলেন, শুধু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি। আগামী প্রজন্মের কাছে দেশের সুস্থ বাতাবরণ যাতে তৈরি করে দেওয়া যায়, এর একজন অংশীদার হতে চান তিনি। তবে তিনি এও উল্লেখ করেন, দল তাঁকে যে কাজের দায়িত্ব দেবে, তা পালন করার জন্য তিনি সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। দল চাইলে তাঁর পছন্দের শীর্ষে বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই করতে চান। এমনকী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি পরাস্ত করতে ধুবড়ি আসনে লড়াই করতেও তিনি প্রস্তুত। যদিও তাঁর জন্মস্থান কাটিগড়া এলাকা নতুন ডিলিমিটেশনে করিমগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে শাসক সরকারের পরাজয় নিশ্চিত বলে তিনি দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে প্রারম্ভিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন শিলচর প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক শংকর দে। আলাপচারিতায় অংশ নেন প্রেস ক্লাব সহসভাপতি বিকাশ চক্রবর্তী, রতন দেব, অমল লস্কর, অভিজিৎ ভট্টাচার্য সহ অন্য সাংবাদিকরা।
প্রতিবেদক : বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।