১২ এপ্রিল থেকে রাজ্যভিত্তিক রবীন্দ্রসঙ্গীত ও রবীন্দ্ৰনৃত্য প্রতিযোগিতা

বরাক তরঙ্গ, ২৭ মার্চ : অসম ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদ, অসম সরকারের দ্বারা আয়োজিত রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজন করা রাজ্যভিত্তিক রবীন্দ্রসঙ্গীত ও রবীন্দ্ৰনৃত্য প্রতিযোগিতা ১২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সমগ্র অসমের বিভিন্ন জেলার ২০টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ এপ্রিল কোন্ তারিখে কোন্ শহরে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে, সেই ঘোষণা প্রচার মাধ্যমের দ্বারা করা হবে। চূড়ান্ত পৰ্যায়ের বাছাই প্রক্রিয়া আগামী ১০ ও ১১ মে গুয়াহাটির শ্ৰীমন্ত শংকরদের কলাক্ষেত্ৰে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতার শহরগুলো হল গুয়াহাটি, শিলচর, শ্রীভূমি, হাইলাকান্দি, হোজাই, লঙ্কা, লামডিং, হাফলং, তিনিসুকিয়া, ডিব্রুগড়, মরিয়ানি, নগাঁও, তেজপুর, টংলা, খারুপেটিয়া, বরপেটারোড, বিজনি, বঙাইগাঁও, কোকরাঝাড় ও ধুবড়ি। এই অঞ্চলভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা রাজ্য পৰ্যায়ের বাছাই প্ৰক্ৰিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন গুয়াহাটিতে। এই প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে অসম ও  কলকাতারও অনেক বিশিষ্ট শিল্পী উপস্থিত থাকবেন।

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে জেলা ও শহরভিত্তিক প্রক্রিয়া সমাপ্তি হবে এপ্রিল মাসের মধ্যে। এবারে অসমের ২০টি শহর মিলিয়ে প্ৰায় ৫ হাজারেরও অধিক প্রতিযোগী অংশগ্ৰহণ করার‌ সম্ভাবনা বলে উদ্যোক্তারা আশা করছেন। সমগ্র রাজ্যের সকল প্রতিযোগীকে “অংশগ্রহণের প্রমাণপত্র” প্রদান করা হবে। উক্ত ৫ হাজার প্ৰতিযোগীর মধ্যে বিজয়ী প্রতিযোগীর ভেতর থেকে রাজ্যিক পৰ্যায়ের প্ৰতিযোগিতার জন্য বাছাই করা হবে।

রবীন্দ্রনৃত্য‌ ও রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতার শাখাগুলো এরকম
‘ক’ শাখা (বয়স ৮ থেকে ১২)
‘খ’ শাখা( বয়স ১৩ থেকে ১৭)
‘গ’ শাখা( বয়স ১৮ থেকে ৪০)

১২ এপ্রিল থেকে রাজ্যভিত্তিক রবীন্দ্রসঙ্গীত ও রবীন্দ্ৰনৃত্য প্রতিযোগিতা

অসম ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদের অধ্যক্ষ শিলাদিত্য‌ দেব জানান, রবীন্দ্ৰসঙ্গীত ও রবীন্দ্ৰনৃত্যের ক্ষেত্ৰে কোনও ধরনের রিমিক গান ব্যবহার করা চলবে না, বিশুদ্ধ রবীন্দ্ৰসঙ্গীত ও রবীন্দ্ৰনৃত্যই এই বাছাই প্রক্রিয়ায় গ্রহণযোগ্য হবে। তবে, নবকান্ত বরুয়া, লক্ষহীরা দাস, ড.নির্মলপ্রভা বরদলৈ, ড. বীরন্দ্রনাথ দত্ত, দিলীপ শৰ্মা, পুলক ব্যানার্জি দ্বারা অনূদিত ও গাওয়া অসমিয়া ভাষার রবীন্দ্ৰসংগীত পরিবেশন করা যেতে পারে।

চূড়ান্ত বাছাই প্রক্রিয়া অনুসারে ১২ মে বিকেল ৪‌টা থেকে গুয়াহাটির শ্রীমন্ত শংকরদেব আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত মূল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যারও আয়োজন করা হবে, তাতে অসম ও বঙ্গের বিশিষ্ট‌  কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।

১২ এপ্রিল থেকে রাজ্যভিত্তিক রবীন্দ্রসঙ্গীত ও রবীন্দ্ৰনৃত্য প্রতিযোগিতা

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থেকে শিলাদিত্য দেব বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে  বিজয়ী প্রতিযোগীরা গুয়াহাটির শ্রীমন্ত শংকরদেব আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাগৃহে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতাত যোগ দেবেন এবং তাঁদের যাতায়াতের খরচ ও গুহাহাটিতে থাকা-খাওয়ার সমস্ত দায়িত্ব অসম সরকারের অসম ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদ বহন করবে। আর এই খরচের অর্থ  প্ৰতিযোগীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হবে। গুয়াহাটির চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রতিযোগীদের একটি করে শংসাপত্ৰের সঙ্গে ‘ক’ শাখার প্ৰথম পুরস্কার ১০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৭,০০০ টাকা আর তৃতীয় পুরস্কার ৫,০০০ টকা প্রদান করা হবে। ‘খ’ শাখার প্ৰথম পুরস্কার থাকবে ১৫,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ১২,০০০ টাকা, এবং তৃতীয় পুরস্কার ১০,০০০ টাকা। ‘গ’ শাখার প্ৰথম পুরস্কার ২১,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ১৮,০০০ টাকা, ও তৃতীয় পুরস্কার ১৫,০০০ টাকা নগদ আর্থিক পুরস্কার রূপে প্ৰদান করা হবে। সেই সঙ্গে স্থানপ্রাপ্তদের ছবি ও নাম অসমের বিভিন্ন পত্রিকায় প্ৰকাশ করা হবে।

অসম ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদের কার্যালয়ত অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অসম ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদের অধ্যক্ষ শিলাদিত্য দেব ও‌ সেইসঙ্গে, পর্ষদের উপাধ্যক্ষ সুশান্ত বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় উদযাপন সমিতির সদস্য মিতা সেন এবং ‘বাংলা সাহিত্য‌ সভা, অসম’-এর সাধারণ সম্পাদক ড. প্রশান্ত চক্রবর্তী।

Author

Spread the News