ডে-লাইট ক্লাবের সর্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ উদ্বোধন ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের

ডে-লাইট ক্লাবের সর্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ উদ্বোধন ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের

বরাক তরঙ্গ, ২০ অক্টোবর : নিউ শিলচর এলাকার সবচেয়ে পুরনো সর্বজনীন দুর্গাপূজো হিসাবে পরিচিত ডে-লাইট ক্লাব। এই ক্লাবটি বিগত ৩৬ বছর থেকে ক্লাবের সদস্য ও সদস্যারা সনাতন ধর্মীয় রীতি -নিয়ম মেনে শারদীয়া দুর্গাপূজার আয়োজন করে চলেছেন। এই  বারের উক্ত ক্লাবের সার্বজনীন দুর্গাপূজাটির মহাষষ্ঠী পূজার সন্ধ্যায় ভোলাগিরি আশ্রমের শিলচর শাখার অধ্যক্ষ স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের হাত দিয়ে ফিতা কেটে ও মাঙ্গলিক পঞ্চপ্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন হয়। স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ উপস্থিত ক্লাবের সদস্য-সদস্যা সহ উপস্থিত ভক্তদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাঙ্গালি হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম আনন্দের উৎসব হলো দুর্গোৎসব।

তিনি আরও বলেন, জাতির অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভশক্তির অভ্যুদয় দুর্গা আরাধনার মূল উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচিত। যুগের বিবর্তনে দুর্গোৎসব বাঙালির লোক সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হিসেবে ঠাঁই পেয়েছে। বাঙালি ঐতিহ্যগতভাবেই উৎসবপ্রিয়। ঈদ ও পূজা ঘিরে জাতীয় জীবনে যে আবেগ সৃষ্টি হয় তা এ সত্যকেই তুলে ধরে। এক সম্প্রদায়ের উৎসবে অন্য সম্প্রদায়ের উপস্থিতি জাতীয় ঐক্যকেই সুসংহত করে। দুর্গা পূজা ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষ নানাভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে যাবতীয় দুঃখ ভুলে গিয়ে হিংসা-বিদ্বেষের ঊর্ধ্বে উঠে প্রীতির মেলবন্ধন রচনার মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। তাই দুর্গা পূজা হিন্দু সমাজে সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হিসেবে বিবেচিত।

দেবী দুর্গা বিভিন্ন রূপে এই মর্তে আবির্ভুত হয়ে থাকেন এবং আমাদের সার্বিক মঙ্গল নিশ্চিত করেন বিধায় তিনি সর্বমঙ্গলা। আবার শিবের শক্তি বলেও তিনি শিবা। কারণ তিনি সব প্রার্থনা এবং আরাধনা মঞ্জুর করেন এবং অসাধ্যকে সাধন করেন। তাই তিনি শরণ্য, তিনি গৌরী। দুর্গা দশভূজ নামেও পূজিত এবং আরোধিত হয়ে থাকেন। এ দিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত সভাপতি রাজু দে, সম্পাদক বিশ্বজিৎ বনিক।
প্রতিবেদক : দীপ দেব, শিলচর।

Author

Spread the News