দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ ডিসেম্বর : শিলচরের বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের বালক ছাত্রাবাসের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন বরাক উপত্যকার উন্নয়ন মন্ত্রী কৌশিক রায় এবং বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার অখিল ভারতীয় বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের সাংগঠনিক সম্পাদক অতুল যোগসহ অন্যান্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। নতুন ছাত্রাবাসের উদ্বোধনের সঙ্গে আশ্রমের বালক ছাত্রাবাসের বার্ষিক উৎসব একত্রিত হয়ে এক আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।অনুষ্ঠানে একটি সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা সভা আয়োজিত হয়, যেখানে মন্ত্রী কৌশিক রাই বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, “সরকারের ৫০ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তায় এই হোস্টেল নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আজ এর উদ্বোধন করা হলো। এই হোস্টেলটি অসংখ্য শিক্ষার্থী এবং সহায়তার প্রয়োজনীয় পরিবারের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে। কল্যাণ আশ্রম দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল স্তরে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে, প্রায়শই স্বীকৃতি বা পর্যাপ্ত সম্পদ ছাড়াই।” মন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যজুড়ে কল্যাণ আশ্রম সরকারের কোনো আর্থিক সহায়তা ছাড়াই অসংখ্য হোস্টেল পরিচালনা করে আসছে। পূর্ববর্তী সরকারগুলো এই কাজে কোনো সহায়তা দেয়নি। “আমরা আনন্দিত যে বর্তমান সরকার তাদের এই মহৎ উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে। এই উদ্যোগের জন্য আমি আসামের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা জানাই,” তিনি বলেন।কল্যাণ আশ্রম ধারাবাহিকভাবে সহায়তার প্রয়োজনীয় সনাতনী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়ে শিক্ষা, আশ্রয় ও যত্ন প্রদান করে আসছে।

মন্ত্রী জানান, আগামী দিনে আদিবাসী ও জনজাতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতি দপ্তর কল্যাণ আশ্রমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে এই উদ্যোগ গুলোকে আরও শক্তিশালী করবে।অতুল যোগ বলেন, “মন্ত্রী কৌশিক রাইয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং রাজ্য সরকারের সমর্থন ও উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আজকের এই অনুষ্ঠানটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকীর সঙ্গে মিলেছে। দেশের প্রতি তার অটল অবদানের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই।”

বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের এই ছাত্রাবাসটি বহু পুরোনো একটি আবাসিক হোস্টেল হিসেবে পরিচিত। কংগ্রেস সরকারের আমলে এসবের দিকে কোনো নজর দেওয়া হয়নি। কিন্তু বিজেপি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের দক্ষিণ আসাম প্রান্তের সংগঠন মন্ত্রী রাজেশ দাস, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংগঠন মন্ত্রী কেদার কলকর্ণি, বরিষ্ঠ কার্যকর্তা শান্তিভূষণ দেবনাথসহ সাংবাদিক দিলীপ কুমার, ঈশ্বরভাই উবেদিয়া এবং অন্যান্যরা।


