অসম পুলিশের ৫,৮১৮টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন____
বরাক তরঙ্গ, ৩ ডিসেম্বর : অসম পুলিশের ৫,৮১৮টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে অসমে বর্তমান সরকারের আমলে সরকারি চাকরি পাওয়া যুবক-যুবতীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজারে। বুধবার নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি জানান, ভবিষ্যতে এই সংখ্যা দুই লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছাবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
অসম সরকারের দাবি অনুযায়ী স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ ব্যবস্থার মাধ্যমে বুধবার ফের ৫,৮১৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরুসজাই ক্রীড়া প্রকল্পে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিয়োগপত্র বিতরণ করা হয়।
মোট ৫,৮১৮ জনের মধ্যে উপ-পরিদর্শক ও সমপর্যায়ের পদে ১৫৬ জন, কনস্টেবল (এবি ও ইউবি) ও সমপর্যায়ের পদে ৫,৪১০ জন এবং চতুর্থ শ্রেণির পদে ২৫২ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এছাড়াও চা জনজাতি সম্প্রদায়ের ১২০ জন প্রার্থীকে পৃথকভাবে আগামী ৮ ডিসেম্বর নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রূপেশ গোয়ালা, বিধায়ক অতুল বরা, রমেন্দ্র নারায়ণ কলিতা, সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, মুখ্য সচিব ড. রবি কোটা, পুলিশ মহানির্দেশক হরমিত সিং-সহ একাধিক বিশিষ্ট আধিকারিক।
নিয়োগপত্র বিতরণ উপলক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগে সরকারি চাকরি পেতে টাকা লাগত—এই ধারণা বহু যুবক-যুবতীর মনে গেঁথে গিয়েছিল। হতাশা থেকে অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ত, আবার কেউ কেউ পথভ্রষ্ট হয়ে উগ্রপন্থায় জড়িয়ে পড়ত। কিন্তু আজ গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমরা ১ লক্ষ ৩৫ হাজার যুবক-যুবতীকে এক টাকাও না নিয়ে চাকরি দিয়েছি। ভারতবর্ষের মধ্যে অসম এমন এক রাজ্য, যেখানে ঘুষ না দিয়েই সরকারি চাকরি পাওয়া যায়।”

তিনি আরও বলেন, “চাকরি পাওয়ার আগে যেমন টাকা দিতে হয় না, চাকরি পাওয়ার পরেও কোনও টাকা দিতে হয় না। বদলির ক্ষেত্রেও অনলাইনে পোর্টালের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে বদলি ঘরের কাছেই বা পার্শ্ববর্তী জেলাতেই সম্ভব।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনের সময় কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই আমি ঘোষণা করেছিলাম যে সরকার গঠন হলে ১ লক্ষ চাকরি দেব। তখন বিরোধী দল, বিভিন্ন সংগঠন ও সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন তুলেছিল—এই বিপুল সংখ্যক চাকরি আসবে কোথা থেকে? অনেক আধিকারিকও বলেছিলেন, এতে উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হবে। কিন্তু আজ আমি তা বাস্তবে দেখিয়ে দিয়েছি। আজ ৫,৮১৮ জনকে নিয়োগ দেওয়ার পরে মোট নিয়োগের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লক্ষ ৪০ হাজারে। এছাড়াও আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই পুলিশ বিভাগে নতুন করে আরও পাঁচ হাজার পদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”


