গোল্ড লোন নিয়ে প্রতারণা শিকার, মামলা
বরাক তরঙ্গ, ১০ অক্টোবর : বন্ধন ব্যাঙ্ক থেকে গোল্ড লোন নিয়ে প্রতারণা শিকার হয়ে তিন ব্যাঙ্ক কর্মীকে অভিযুক্ত করে থানায় দায়ের মামলা করলেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার বেরেঙ্গা তৃতীয় খণ্ডের বাসিন্দা একবাল হোসেন চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে অভিযোগ করে বলেন, করোনা অতিমারির সময় আর্থিক সমস্যায় পড়েছিলেন। তখন শিলচর রাঙ্গিরখাড়িস্থিত বন্ধন ব্যাঙ্ক থেকে ১৫ হাজার টাকা গোল্ড লোন নেন। এরজন্য আনুমানিক ৭০হাজার টাকার সোনার গহনা রেখে ছিলেন। তবে, গোল্ড লোনের বিষয়ে তাকে কোনো কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। তাকে বলা হয় যে লিঙ্ক ফেইলিউর আছে তাই নথিগুলি ৩/৪ দিনের মধ্যে দিয়ে দিবেন। কিন্তু পরবর্তীতে গোল্ড লোনের নথি সংগ্রহের জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলেন, তার বাইকের ঋণ রয়েছে তাই ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত কোনো নথিপত্র দেওয়া যাবে না। পরে তিনি বাইকের লোনের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিয়ে বন্ধন ব্যাঙ্কে যান সোনার গহনা ফিরিয়ে আনার জন্য। তখন তাকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলেন, তার অ্যাকাউন্টে কোন সোনার গহনা রাখা নেই। এবং যার কাছে সোনার গহনা রেখে ছিলেন মিসবাহরুল হক চৌধুরী তিনি চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন।
পরে এই বিষয়ে লিগেল নোটিশ পাঠান। লিগেল নোটিশ পেয়ে বিচারসভার মাধ্যমে ব্যাপারটি শেষ করতে চায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এবং তিনি এতে রাজি হন। বিচারসভায় বসে দেখতে পান তার লোন ১৫ হাজারের পরিবর্তে ১৮হাজার রয়েছে কিন্তু তাকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে। তখন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে এবং একটি কাগজে লিখিতভাবে জানান তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এবং একটি সোনার দোকানে সোনার গহনা অর্ডার করেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তিন মাস অতিক্রম হওয়ার পরও কোন গহনা পাননি তিনি। এই বিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনও পাত্তা না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে মিসবাহরুল ইসলাম, তসলিম লস্কর এবং সঞ্জয় নাথের বিরুদ্ধে শিলচর সদর থানায় মামলার দায়ের করেন। এ দিকে, এবিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কোন মতামত জানা যায়নি।
প্রতিবেদক : হিবজুর রহমান, শিলচর।