বিজিএম আয়োজনের প্রক্রিয়ায় বিপত্তি, নেপথ্যে বিষয় নিয়ে এওএ-কে চিঠি ডিএসএ সচিব অতনুর

ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৮ ডিসেম্বর: চলতি মাসের মধ্যেই দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা (বিজিএম) শেষ করে নিতে আসাম অলিম্পিক সংস্থার (এওএ) তরফে নির্দেশ এলেও এখনও নির্বাচন প্রক্রিয়ার দিকে একধাপও এগোতে পারেনি শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা। কেন এগোতে পারেনি, এর নেপথ্যে থাকা সমস্ত বিপত্তি তুলে ধরে আসাম অলিম্পিক সংস্থার সচিব লক্ষ্য কোঁওরকে চিঠি দিলেন শিলচর ডিএসএ সচিব অতনু ভট্টাচার্য। এই চিঠিতে তিনি জানান, এওএ-র বেঁধে দেওয়া আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিজিএম করানোর পক্ষপাতী তিনি। সেজন্য পরিস্থিতি মসৃণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দু’জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের উপস্থিতিতে গভর্নিং বডির মিটিং করে বিজিএমের তারিখ চূড়ান্ত করার কথা বলেছেন তিনি। সেইসঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, বিজিএমের অন্তত ১৫ দিন আগে জিবি মিটিং করে নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যদের অসহযোগিতায় সচিব কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গভর্নিং বডির বৈঠক করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন প্রসিডিং বই। কিন্তু সেটাই তো সংস্থা থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন হকি সচিব সুদর্শন চৌধুরী। ঘটনা গত ৮ নভেম্বরের। শিলচর সদর থানার দ্বারস্থ হয়েও এ পর্যন্ত প্রসিডিং বই ফেরত পায়নি ডিএসএ। এরই মধ্যে কোষাধ্যক্ষ আর্থিক হিসেব নিকেশে সহযোগিতা করছেন না। উল্টো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখার ব্যবস্থা করেছেন। অথচ ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত জিবি মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কোষাধ্যক্ষকে সবকিছু হস্তান্তর করার জন্য বলা হয়েছিল। তিনি সেটা করেননি। চেক বইয়ে সভাপতি ও সচিব নিয়মিত সই করে লেনদেন প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন বলেই এবার ব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কোষাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব চৌধুরী।

এই বিষয়গুলি তুলে পর্যবেক্ষকদের সরেজমিনে পাঠাতে অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএসএ সচিব অতনু ভট্টাচার্য। এখন আসাম অলিম্পিক সংস্থা থেকে এর জবাব আসার অপেক্ষা।

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর আসাম অলিম্পিক সংস্থার পক্ষ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয় শিলচর ডিএসএ-র সভাপতি শিবব্রত দত্তকে। পরে সভাপতি শিবব্রত দত্ত সচিব অতনুকে বিজিএমের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *