আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ দিবসে দিব্যাঙ্গ শনাক্তকরণ শিবির রামকৃষ্ণনগর কলেজে
জনসংযোগ, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ সেপ্টেম্বর : ভারত সরকারের সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন বিভাগের অন্তর্গত স্বামী বিবেকানন্দ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব রিহেবিলেটেশন ট্রেনিং রিসার্চ বিভাগের অন্তর্গত ভাঙাঘর গুয়াহাটির কম্পজিট রিহেবিলেটেশন সেন্টার (সিআরসি) ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অব ডিফনেস ও দিব্যাঙ্গদের জন্য সমর্পিত রাষ্ট্রীয় সংগঠন সক্ষম এর উদ্যোগে তথা রামকৃষ্ণনগর কলেজের আইকিউএসি সেল ও ডিডিআরসি করিমগঞ্জের যৌথ সহযোগিতায় বুধবার আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ দিবসে দিব্যাঙ্গ শনাক্তকরণ, রিহেবিলেটেশন ও ভারত সরকারের বিভিন্ন স্কিম বিষয়ক সচেতনতামূলক শিবির আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রথমেই সঙ্গীত পরিবেশন করেন কলেজের ছাত্রীরা।
অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণনগর মিউনিসিপালটির চেয়ারপার্সন প্রতিমা নাথ, সভা পরিচালনা করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. দীপঙ্কর দাস। বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণনগর ব্লকের সিডিপিও গোকুলচন্দ্র শর্মা, সিআরসি গুয়াহাটির পক্ষ থেকে স্পেশাল এডুকেশন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. দীপক কুমার আইচ, অকুপেশন্যাল থেরাপি লেকচারার ড. সুনীলকুমার রাম, রিহেবিলেটেশন অফিসার রাজ কমল পাণ্ডে, প্রস্থেটিস্ট মৃত্যুঞ্জয় কুমার। সক্ষমের সম্পাদক তথা ডিডিআরসি করিমগঞ্জের কো-অর্ডিনেটর মিঠুন রায়ের স্বাগত ভাষণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি তথা কলেজ অধ্যক্ষ দীপঙ্কর দাস বলেন, আজকের এই সজাগতামূলক অনুষ্ঠানের ফলে এই অঞ্চলের বৃহত্তর এলাকার জনগণ ভারত সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উপকার পাবেন। পরবর্তীতে ওই অঞ্চলের এক দিব্যাঙ্গ পিনাকপানী নাথকে সভার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে টেকনিক্যাল সেশনে এক্সপার্ট ড. দীপক কুমার আইচ, ড. সুনীল কুমার রাম, রাজ কমল পান্ডে ও মৃত্যুঞ্জয় কুমাররা দিব্যাঙ্গদের কিভাবে শনাক্ত করা, তার প্রাথমিক চিকিৎসা, রিহেবিলেটেশন ও ভারত সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে স্লাইড প্রেজেন্টেশন করেন সিআরসি গুয়াহাটির টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা। ডাঃ দীপককুমার আইচ সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ দিবস উপলক্ষে সকলকে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে অক্ষর প্রেকটিস করান। অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী ছাড়াও আঙ্গনওয়াড়ী কর্মী, সুপারভাইজার সহ প্রায় ১৮০ জন উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে কলেজের সোসিওলজি বিভাগের প্রধান ড. জয়ীতা দেব ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।