করিমগঞ্জ জেলায় ডেঙ্গুর প্রজনন উৎস হ্রাস এবং সচেতনতা পক্ষ চালু
জনসংযোগ, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ সেপ্টেম্বর : ডেঙ্গু জ্বরের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় করিমগঞ্জ জেলায় মশার প্রজনন উৎস হ্রাস এবং জনগণের সচেতনতার জন্য বুধবার দুই সপ্তাহের কার্যসূচি পালন শুরু করা হয়েছে৷ এই উদ্যোগের লক্ষ্য জনসাধারণকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে শিক্ষিত করা এবং মশার প্রজনন স্থান নির্মূলে জনগণের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা। অনুষ্ঠানটি একটি সচেতনতামূলক র্যালির মাধ্যমে শুরু হয় এতে স্বাস্থ্য যুগ্ম সঞ্চালক ডাঃ সুমনা নাইডিং, এনএইচএম এর ডিপিএম হানিফ মোহাম্মদ কৌশর আলম, এনসিভিবিডিসি জেলা পরামর্শক দেবজিৎ দে-র উপস্থিতিতে পতাকা নেড়ে ওই র্যালির সূচনা করেন। এতে করিমগঞ্জ জেলার সমস্ত এনসিভিবিডিসি কর্মীরা, ম্যালেরিয়া পরিদর্শক, নজরদারি পরিদর্শক, নজরদারি কর্মী এবং নগর আশা কর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন। সচেতনতা র্যালিটি করিমগঞ্জ জেলার প্রধান স্থান প্রদক্ষিণ করে।
অনুষ্ঠানে ডাঃ নাইডিং বলেন, ডেঙ্গু জ্বর, এডিস মশা দ্বারা সংক্রামিত, বিশেষ করে বর্ষাকালে প্রবল স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। এই কার্যক্রমে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করিমগঞ্জ পৌরসভা বোর্ড এবং স্থানীয় এনজিওগুলির সহযোগিতায় বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন, সচেতনতা প্রদান, মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস, জ্বর পর্যবেক্ষণ, সচেতনতা প্রচার, স্বাস্থ্য শিবির, কর্মশালা, অ্যান্টি লার্ভা স্প্রে, ফগিং এবং পরিচ্ছন্নতা ড্রাইভ সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এতে জানানো হয় ডেঙ্গু একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ এবং কীভাবে মশার প্রজনন উৎস কমানো যায় সে সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষিত করে উল্লেখযোগ্যভাবে ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। দেবজিৎ দে, জেলা ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কনসালট্যান্ট জনগণকে এই উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। জমা জল নিষ্কাশন এবং তাদের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বাসিন্দাদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহজ কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করা হয়। এতে মশা তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহার করা, প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরা, এবং জল সংরক্ষণের পাত্রগুলো ঢেকে রাখা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানানো হয়।