কেরলের ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশে সারা দেশের সঙ্গে শিলচর ও হাইলাকান্দিতে বিক্ষোভ
বরাক তরঙ্গ, ৭ মার্চ : কেরলের ভেটেনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ছাত্র সিদ্ধার্থকে তাঁর হোস্টেলের ওয়াশরুমে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে সে রাজ্যে তীব্র ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার এআইডিএসও’র সর্বভারতীয় কমিটির আহ্বানে সিদ্ধার্থের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গড়ে উঠা ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশে সারা দেশের সঙ্গে শিলচর ও হাইলাকান্দিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘প্লেজড ডে’ পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার শিলচরে এ উপলক্ষে আয়োজিত কার্যসূচিতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সর্বভারতীয় কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হিল্লোল ভট্টাচার্য ও হাইলাকান্দির মোহনপুরে আয়োজিত কার্যসূচিতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অসম রাজ্য সভাপতি প্রজ্জ্বল দেব। তাঁরা বলেন, কেরলের ভেটেনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, উত্তরপ্রদেশের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি, পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর ইউনিভার্সিটি ইত্যাদিতে ছাত্রছাত্রীদের উপর সাম্প্রতিক কালে সংঘটিত ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলো দেশের মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক খুন, অ্যাসিড হামলা, শ্লীলতাহানি, র্যাগিং এর মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সমাজে মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও আদর্শের অভাব শিক্ষার্থীদের নৈতিক মেরুদণ্ডকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর আক্রমণের ঘটনা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে উন্নত শৈক্ষিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। উক্ত ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান দুই বক্তা।
উল্লেখ্য, সিদ্ধার্থকে তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে উলঙ্গ করে প্যারেড করানো হয় এবং তিন দিন হোস্টেলে বেল্ট ও লোহার রড দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ইউনিভার্সিটির এসএফআই ইউনিটের সেক্রেটারি ও কলেজ ইউনিয়নের সভাপতি। ফলে সিপিআই এম নেতৃত্বাধীন কেরল সরকারের পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করার পরিবর্তে আড়াল করার চেষ্টা করছে। ছাত্র আন্দোলনের চাপে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ অন্যান্য অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।