দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৮ নভেম্বর : সমগ্ৰ রাজ্যবাসীর সঙ্গে-সঙ্গতি রেখে মঙ্গলবার কাছাড় জেলা অগপ কমিটি ও জেলা যুব পরিষদের যৌথ উদ্যোগে জনপ্রিয় গায়ক, সঙ্গীতজ্ঞ ও অভিনেতা জুবিন গর্গের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় স্বাভিমান দিবস পালন করা হয়। সারাদিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে জেলাজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।দিনের কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে অগপ দলের পদাধিকারী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে জুবিন গার্গের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এরপর সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বৃক্ষরোপণ কার্যসূচির আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে পরিবেশবিদ, শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রায় ৫০ জন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দুপুর ১২টায় অতিথিদের বক্তব্যে মুগ্ধ হয় উপস্থিত জনতা।
বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে প্রয়াত জুবিন গার্গের প্রতিকৃতির সামনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বরাক উপত্যকার তত্ত্বাবধায়ক কেএইচ বিমলেন্দু সিংহ। সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে জুবিন গার্গের স্মরণে এক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা তাঁর জনপ্রিয় গানে সংগীত পরিবেশন করেন।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি নজমূল হোসেন মজুমদার বলেন, জুবিন গার্গ ছিলেন আসামের গর্ব ও সংগ্ৰামী ব্যক্তিত্ব। তাঁর জন্মদিন পালন করতে পেরে সমগ্ৰ অগপ পরিবার গর্বিত।” যুব পরিষদের সভাপতি রূপন মোদক বলেন, জুবিন গার্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজপুত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর আকস্মিক মৃত্যু আসামের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক অপূরণীয় ক্ষতি।শিলচর বিধান পরিষদের সভাপতি সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য (দীপন) বলেন, জুবিন গার্গ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। গায়ক, সঙ্গীতজ্ঞ ও অভিনেতা হিসেবে তিনি আসামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে দেশ-বিদেশে তুলে ধরেছেন। প্রায় ৪০টি ভাষায় ৩০,০০০-এরও বেশি গান গেয়ে তিনি ভারতীয় সঙ্গীতজগতে অমূল্য অবদান রেখেছেন।
“অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের কার্যকরী সভাপতি মনিতন সিংহ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক লস্কর, যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক নেকবুব হোসেন লস্কর, সহ-সম্পাদক দীপ ভট্টাচার্য্য, শিলচর বিধান পরিষদের সম্পাদক সুব্রত চন্দ, সংখ্যালঘু পরিষদের সভাপতি হায়দার হুসেন লস্কর, কৃষক পরিষদের সভাপতি খালেদ মাসুক মজুমদার, উপ-সভাপতি কৌসুর ফরিদ লস্কর, কুতুব উদ্দিন বড়ভূইয়া, সঞ্জু লস্কর, সারিকা আজমি বড়ভূইয়া, রিয়াজুল হক বড়ভূইয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপেন্দু দাস, জহিরুল হক লস্কর, মণিমালা সিংহ, রাজদীপ অধিকারী, ডাঃ শুভদীপ ভট্টাচার্য্য ও অধ্যাপক উত্তরীয় পরিয়েকে স্মারক ও উত্তরীয় পরিধান করিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক সুজিত শর্মা।


