বরাক তরঙ্গ, ২৭ নভেম্বর : বৃহস্পতিবার অসম বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে একটি সংশোধিত বিল। তামিলনাড়ুর ‘জালিকাট্টু’-র মতোই অসমের ঐতিহ্যবাহী মহিষ লড়াই–কে পশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের আওতার বাইরে রাখা হল সংশোধিত বিলে।
‘পশু নির্যাতন বিরোধী (অসম সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ পাসের সময় পশুপালন ও পশু-চিকিৎসা বিভাগের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল জানান, মূল আইনে কিছু ঐতিহ্যগত প্রথাকে এর আওতা থেকে বাদ দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মহিষ যুদ্ধ সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত একটি সংস্কৃতি ও প্রথাকে ধরে রাখা এবং তাকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রজাতির সংরক্ষণেও এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, “মহিষ যুদ্ধ আয়োজনকে ১৯৬০ সালের পশু নির্যাতন বিরোধী আইনের ‘নির্যাতন’ সংজ্ঞা থেকে মুক্ত রাখা হবে।” তামিলনাড়ুর জালিকাট্টু এবং কর্ণাটকের গরুগাড়ি দৌড় প্রতিযোগিতার মতোই মহিষ যুদ্ধকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শাসক বা বিরোধী—কারও আপত্তি না থাকায় বিলটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে গুয়াহাটি হাই কোর্ট অসম সরকারের ২০২৩ সালের একটি SOP-তে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, যার মাধ্যমে প্রতিবছর জানুয়ারিতে মাঘ বিহুর সময় মহ যুঁজ এবং বুলবুলি পাখির লড়াই আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হতো। আদালত উল্লেখ করেছিল, ওই SOP ২০১৪ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের লঙ্ঘন।


