“বীরাঙ্গনা কমলা” তথ্যমূলক বইয়ের লেখিকা বর্ণালী ভট্টাচার্যকে সম্মাননা প্রদান বেঙ্গলি ফরওয়ার্ডের

বরাক তরঙ্গ, ১৪ সেপ্টেম্বর : লেখিকা বর্ণালী ভট্টাচার্যকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করল বেঙ্গলি ফরওয়ার্ড ক্লাব।বুধবার সন্ধ্যায় মাতৃভাষার জন্য শহিদ হওয়া অন্যতম বরাকের বীরাঙ্গনা নারী কমলা ভট্টাচার্যের ভ্রাতুষ্পুত্রী লেখিকা বর্ণালী ভট্টাচার্যকে “বীরাঙ্গনা কমলা” নামের তথ্যমূলক দ্বিতীয় খণ্ড বইটি লেখার জন্য শিলচর অম্বিকাপট্টি এই অঞ্চলের বিশিষ্ট সাহিত্যিক-গবেষক নীহাররঞ্জন পালের বাসভবনে বেঙ্গলি ফরোয়ার্ড ক্লাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তরীয় পরিয়ে হাতে সম্মাননা স্মারক ও ফুলের তোড়া তুলে দেন ক্লাবের সভাপতি সুশীলকুমার কর, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেব, বিদ্যুৎকুমার দেব, নরেনচন্দ্র দাস, কৃষ্ণা দেব প্রমুখ।

১৯ শে-র ইতিহাস বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে ইংরেজি ভাষায় লিখেছি “বীরাঙ্গনা কমলা” : বর্ণালী_____

এদিন বক্তব্যে বেঙ্গলি ফরোয়ার্ড ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেব বলেন, আজকের দিনটি এই ক্লাবের প্রত্যেকটি সদস্যদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন, কলকাতা নিবাসী লেখিকা বর্ণালী ভট্টাচার্য যেভাবে “বীরাঙ্গনা কমলা” বইটির দ্বিতীয় পর্ব লেখার উদ্দেশ্যে বিগত দিন ১৯৬১ সালের ১৯ শে মে-র মাতৃভাষা শহিদদের তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তাঁর এই উদ্যোগটা সত্যিকারের অর্থে অতুলনীয় এবং বেঙ্গলি ফরওয়ার্ড ক্লাব যে আগামী দিনে নতুন উনিশে মে স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেই স্মৃতিসৌধটি আগামী ২০২৪ সালের ১৯ শে মে-র দিনে উপস্থিত থেকে তাঁর হাত দিয়ে উদ্ধোধনের জন্য অনুরোধ জানান। সভাপতি সুশীলকুমার কর এই বইটি  বাংলা ভাষায় লেখার জন্য মত প্রকাশ করেন। মুখ্য উপদেষ্টা নীহাররঞ্জন পাল বলেন, লেখিকা বর্ণালী ভট্টাচার্য “বীরাঙ্গনা কমলা” বইটি প্রত্যেক পাতা পড়লে অনুভব করা যায় যে বরাকের বাংলাভাষার জন্য শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান  জানিয়েছেন এবং সেই চেতনা আগামী দিনে আমাদের জাগ্রত থাকে সেই চেষ্টা করেছেন।

শেষে আমন্ত্রিত অতিথি তথা লেখিকা বর্ণালী ভট্টাচার্য বলেন, ছোটবেলা থেকেই তাঁর বাবা  প্রয়াত বকুলচন্দ্র ভট্টাচার্যের মুখ থেকে পিসি বাংলা ভাষা শহিদ কমলা ভট্টাচার্যের জীবনীর কথা শুনে আসছিলেন এবং সেই শুনা কথা গুলোর প্রেরণা থেকেই এই বীরঙ্গনা কমলা বইটি লেখার মনের মধ্যে উৎসাহের জন্ম নিয়ে এবং বইটি ইংরেজি ভাষায় লেখার মাত্র কারণ হচ্ছে সমগ্র ভারতে বসবাসকারী বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ বরাকের বাংলাভাষা রক্ষার জন্য ত্যাগ ও রক্তঝরা সংগ্রামের ইতিহাসটি তুলে ধরার জন্য লিখেছেন এবং এই “বীরাঙ্গনা কমলা” বইটি পড়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।
প্রতিবেদক : দীপ দেব, শিলচর।

Author

Spread the News