জিসি কলেজে নিয়োগ বিজ্ঞাপনে ভাষা, আইন লঙ্ঘন, সংশোধনী চাইল বরাকবঙ্গ

বরাক তরঙ্গ, ৩০ ডিসেম্বর : বরাক উপত্যকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জিসি কলেজে তৃতীয় শ্রেণীর কিছু পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে  যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে অসমীয়া ভাষা জ্ঞানও অবশ্যক বলে সংবাদপত্রে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তাতে এই উপত্যকার জন্য নির্ধারিত ভাষা আইন এবং এ বিষয়ে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নীতি নির্দেশিকা লঙ্ঘন করা হয়েছে । এই অভিযোগ এনে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সন্মেলন। শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটায় সম্মেলনের চার কর্মকর্তা সঞ্জীব দেবলস্কর, গৌতম প্রসাদ দত্ত, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য ও উত্তম কুমার সাহা ওই কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষ বিভাস দেবের সঙ্গে দেখা করে এ মর্মে প্রতিবাদ জানান। তারা সংশ্লিষ্ট আইন ও নির্দেশকে  মান্যতা দিয়ে অবিলম্বে নিয়োগ বিজ্ঞাপন সংশোধন করার দাবি উত্থাপন করেন। জবাবে অধ্যক্ষ জানান, ভাষা আইন ও বিভাগীয় নির্দেশ কোনওভাবেই লঙ্ঘন করা হবে না। এটা  অনিচ্ছাকৃত ভুলে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধনী বিজ্ঞাপন     প্রকাশের   ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে বরাকবঙ্গকে আশ্বাস দেন   অধ্যক্ষ দেব।

এদিকে জিসি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তরে উন্নীত করায় অধ্যক্ষ বিভাস দেরকে অভিনন্দন জানান বরাকবঙ্গের কর্মকর্তারা। এই অঞ্চলের শিক্ষা, ইতিহাস চর্চা ও সামাজিক ক্ষেত্রে যে   প্রত্যাশা রয়েছে তা   পূরণে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় যাতে সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে সেজন্য গোড়াতেই    প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানান তারা। জবাবে অধ্যক্ষ দেব আশ্বাস দিয়ে বলেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এ অঞ্চলের জনগণের যে প্রত্যাশা রয়েছে সেটা পূরণ করতে তারা সাধ্যমত প্রয়াস নেবেন। জিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তৈরির জন্য তথ্যসম্বলিত প্রতিবেদন এবং  প্রস্তাবনা রাজ্যের শিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ সম্পর্কে বিভাগীয় উপদেষ্টা ননীগোপাল মহন্তকে অবহিত করা হয়েছে। দিন দশেক আগে এই প্রতিবেদনটি সরকারের বিবেচনার জন্য পেশ করা হয় বলে তিনি জানান। আশা করা হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার আগামী বাজেট অধিবেশনে জিসি বিশ্ববিদ্যালয় বিল উত্থাপন করা হতে পারে। ইতিমধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পরিকাঠামো ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বলে অধ্যক্ষ বরাকবঙ্গকে অবহিত করেন।

Author

Spread the News