বিহার থেকে গুয়াহাটির দুই কিশোরীকে উদ্ধার অসম পুলিশের, ধৃত ৪

বরাক তরঙ্গ, ৮ জুলাই : বিহারে পাচারকারীদের খপ্পর থেকে গুয়াহাটি পুলিশ এক নাবালিকা সহ দুই মেয়েকে উদ্ধার করেছে। সোমবার উদ্ধার করে অসম পুলিশ।

সূত্র অনুসারে, ২৯ জুন রেখা দেবী নামে এক মহিলা ভাঙাগড় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে তার মেয়ে সিন্ধু কুমারী (১৮) তাকে একটি নতুন মোবাইল ফোন কেনার জন্য বিরক্ত করছিল। তার দাবি প্রত্যাখ্যান করায়, সিন্ধু সানিয়ারা পারবিন নামে আরেকটি মেয়ের বাড়িতে যায় এবং তারপরে উভয় মেয়েই নিখোঁজ হয়।

নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর, ভাঙাগড় পুলিশ ব্যাপক তদন্ত শুরু করে। জানা গেছে, একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি সিন্ধুকে পরিবারকে ফোন করে এবং তার মুক্তির জন্য ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। কলটি ট্রেস করে জানা যায় এটি বিহারের পূর্ণিয়ার।

সেই অনুযায়ী ভাঙ্গাগড় থানার পুলিশের একটি দলকে পূর্ণিয়ায় পাঠানো হয়। তল্লাশি অভিযান শুরু করার পর, পুলিশ তানভির আলম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ দুই কিশোরীকেও উদ্ধার করেছে।

আরও, তদন্তে এটি প্রকাশ্যে আসে যে উভয় ভুক্তভোগী মেয়ে যখন দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল, তখন সিকান্দার আলি (২৮) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে গুয়াহাটির পল্টন বাজার রেলওয়ে স্টেশনে দেখা হয়। আলি মেয়েদের বোঝালেন যে তিনি তাদের দিল্লি যেতে সাহায্য করবেন এবং তাদের বশিষ্টার ইদ্রিশ আলি (২৭) এর কাছে হস্তান্তর করেন।

আরও সূত্রে জানা গেছে, ইদ্রিশ আলি এবং তার স্ত্রী বাবলি পরে পশ্চিমবঙ্গের এক মহিলা খায়রুন নেসার সঙ্গে মিলে তাদের বাসে করে শিলিগুড়ি নিয়ে যান এবং বিহারের আকবরের কাছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আকবর এরপর মেয়েদের নিয়ে তানভির আলমের (৩৫) কাছে হস্তান্তর করেন, যিনি তাদের বিহারের রাউতায় যৌন কাজে নিয়োজিত করেন।

তদন্তে আরও জানা যায়, খায়রুন নেছা ইদ্রিশ আলির বাড়িতে থাকতেন এবং অন্য একটি মেয়েকে বিহারে পতিতালয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তথ্যের ভিত্তিতে তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এবং চার আসামিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করে পুলিশ রিমান্ডে আনা হয়েছে। বর্তমানে পলাতক ইদ্রিশ আলির স্ত্রীকে গ্রেফতারে অধিকতর তদন্ত চলছে।

Author

Spread the News