মিজোরামের নবনির্মিত কনপুই রেলস্টেশনে আচমকা ধস!
এবি লস্কর, লালা।
বরাক তরঙ্গ, ২৮ আগস্ট : মিজোরামে আচমকা পাহাড় ধসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলো নবনির্মিত কনপুই রেল স্টেশন। বুধবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা সংঘটিত হয়। আচমকা এই ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। ভূমি ধসের এই ঘটনার পরই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে ভিডিও।
অনিশ্চিত হয়ে গেল ভৈরবী-হরতকি এবং ভৈরবী-গুয়াহাটি রেল পরিষেবা চালু
মিজোরামের ভৈরবী থেকে হরতকি স্টেশন পর্যন্ত সিআরএস ইনিসস্পেকশনের পর যখন ট্রেন চলাচলের ছাড়পত্র দিয়েছিল রেল বিভাগ ঠিক তখনই আচমকা ঘটে যাওয়া ভূমি ধসের এই ঘটনায় অনিশ্চিত হয়ে গেছে নতুন লাইন চালু হওয়ার। আপাতত ভৈরবী হরতকি এবং ভৈরবী গুয়াহাটি রেল পরিষেবা চালু হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এদিকে, গত ২০ আগস্ট থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মিজোরাম। হাইলাকান্দির জামিরায় ধলেশ্বরীর করাল গ্রাসে রেল ট্র্যাকের মাটি নদীগর্ভে চলে গিয়ে লাইন ঝুলে রয়েছে। হঠাৎ করে দুই দুইটি ঘটনার পর ট্রেন পরিষেবা চালু করা রেল বিভাগের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। গত বছরও মিজোরামে রেলের সেতু ভেঙে পড়ে বর্হিরাজ্যের অনেক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছিলেন। কনপুই স্টেশনে ধস নামার খবরে জানা গেছে, স্টেশন ভবনের পেছনের উঁচু পাহাড় থেকে আচমকা ধসপতন শুরু হলে যথেষ্ট আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। প্রাণ বাঁচাতে চিৎকারের পাশাপাশি মানুষ এদিক ওদিক ছুটতে থাকেন।
এদিকে, জামিরায় নদী ভাঙ্গনের কারণে রেল ট্র্যাক ঝুলে যাওয়ায় চলতি মাস থেকে হাইলাকান্দির জামিরা পর্যন্ত শিলচর-ভৈরবী যাত্রী ট্রেন চলাচল করছে। একদিকে নদী ভাঙনে রেলট্রেক ঝুলন্ত অবস্থায় অন্যদিকে কনপুই স্টেশনে ধস পতন, এসব দুর্যোগের জন্য মিজোরামের রেলপরিষেবার অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে সিআরএস ট্রেন চালানোর অনুমোদন দিয়েছেন। তাঁর অনুমোদনে মিজোরাম থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত সরাসরি যাত্রী ট্রেন চালু হওয়ার যে স্বপ্ন দেখা দিয়েছিল এসব বিপর্যয়ে সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হতে শুরু করেছে৷ রেল কর্তৃপক্ষ ধলেশ্বরী নদীর জল কমলে রেলট্রেক সংস্কার শুরু হবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। এতে আরও মাসখানেক না গেলে নদীর জল কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বুধবারও নদীর জল বাড়ছে। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মিজোরাম রেল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থেকে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।