ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে জিস্যাট-২০ উৎক্ষেপণ ইসরোর
১৯ নভেম্বর : স্পেসএক্সের ফ্যালকন নাইন রকেট ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার জিস্যাট-২০ স্যাটেলাইট। মূলত যোগাযোগ মাধ্যমকে উন্নত করতে মহাকাশে পাঠানো হল এই স্যাটেলাইট। প্রায় ৪,৭০০ কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইটে রয়েছে কা-ব্যান্ডের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পে-লোড। উপগ্রহটি পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবে ১৪ বছর। জানা গিয়েছে, উপগ্রহটি চালু হলে দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা চালু হবে। যার মধ্যে রয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ এবং বিমান চলাকালীন ইন্টারনেট। সম্প্রতি ভারতীয় বিমানগুলিতে আকাশপথে থাকা অবস্থায় ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সে্ই প্রযুক্তি আরও বেশি করে কার্যকর হবে। জিস্যাট-২০ উপগ্রহটি জিস্যাট-এন২ নামেও পরিচিত। সরকার পরিচালিত ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি স্পেসএক্সের সঙ্গে তাদের প্রথম বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের ঘোষণা করেছিল। এখনও পর্যন্ত ভারত ৪৩০টিরও বেশি বিদেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে, তবে জিস্যাট-২০ এতই ভারী যে এটি বহন করার জন্য কোনও ভারতীয় রকেটই পর্যাপ্ত নয়। এই পরিস্থিতিতে ইসরোকে স্পেসএক্সের সহযোগিতা নিতে হয়।
এটাই স্পেসএক্স ও ইসরোর প্রথম যৌথ মিশন। ভারী স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য পূর্বে ইউরোপীয় লঞ্চারের ওপর নির্ভরশীল ছিল ভারত। কিন্তু আরিয়ানস্পেসের বর্তমানে কোনও কার্যকরী রকেট নেই এবং রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে তাদের থেকে সহায়তা নেওয়াও সম্ভব নয়। এর ফলে ভারতে স্পেসএক্সই সবচেয়ে কার্যকর বিকল্প হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, ইসরোর সবচেয়ে ভারী রকেট এলভিএম-৩, যা ৪০০০ কেজি পর্যন্ত উপগ্রহকে কক্ষপথে নিয়ে যেতে পারে।