‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ বলে কিছু নেই, সতর্ক করলেন মোদি
২৮ অক্টোবর : দেশ ধীরে ধীরে ডিজিটাল হচ্ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার প্রতারণার সংখ্যা। প্রতারকরা যেভাবে নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করছে, তা নিয়ে আমজনতা উদ্বিগ্ন। বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। রবিবার তিনি ‘মন কি বাত’-এর (Man Ki Baat) ১১৫ তম পর্বে সাইবার প্রতারণার নয়া পন্থা ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে মুখ খুলেছেন। মোদি সাফ জানিয়েছেন, আইনে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ বলে কিছু নেই। যারা এই অপরাধ করছে, তারা ‘সমাজের শত্রু’। এই ধরনের সাইবার ক্রাইম রুখতে ন্যাশনাল সাইবার কোঅর্ডিনেশন সেন্টার তৈরি হয়েছে।
‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে সকলে সতর্ক হোন… কোনও তদন্তকারী সংস্থা কোনও দিন আপনাকে ফোন বা ভিডিয়ো কলে জেরা করবে না। ডিজিটাল অ্যারেস্টের ক্ষেত্রে প্রতারকরা নিজেদের পুলিশ, সিবিআই, নারকোটিক্সের কেউ পরিচয় দেয়।’ মোদির বক্তব্য, ‘এই প্রতারকরা যাঁকে শিকার বানাতে চায়, তাঁর সমস্ত খোঁজ খবর রাখে। আপনার মেয়ে কি দিল্লিতে পড়ে? আপনি কি গত মাসে গোয়ায় গিয়েছিলেন? এমন প্রশ্ন করে তারা। এরপর ফোন, ভিডিয়ো কল বা ডিজিটাল মাধ্যমে হুমকি দেয়, নিজেদের সরকারি এজেন্সির লোক দাবি করে। আর তারপর চাওয়া হয় টাকা। বলা হয়, সেই কথা না শুনলে গ্রেফতার করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতারকরা এতটাই মানসিক চাপ দেয় যে সাধারণ মানুষ ভয় পেয়ে যায়। যে কেউ এর শিকার হতে পারেন। যখনই আপনি এই ধরনের কল পাবেন, ভয় পাবেন না। কোনও তদন্তকারী সংস্থা কখনও ফোন কল বা ভিডিও কলের মাধ্যমে এই ধরনের জেরা করে না।’ মোদির বার্তা, ‘এই ধরনের ফোন কল এলে নিজের তথ্য দেবেন না। দরকার হলে স্ক্রিনশট নিন, রেকর্ড করুন।’
সেই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তার তিনটি ধাপের কথা উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই তিনটি ধাপ হল – ‘থামুন, চিন্তা করুন ও পদক্ষেপ নিন’। এই ধরনের ফোন এলে ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইন 1930-এ ডায়াল করা অথবা cybercrime.gov.in-এ রিপোর্টের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ।

