উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে রাজ্যে ফের বিজেপি সরকার করার আহ্বান নবারুণ মেধির

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৭ নভেম্বর : ভারতীয় জনতা পার্টির ভ্রাতৃ সংগঠন তপসিলি মোর্চার কাছাড় জেলা কমিটির উদ্যোগে সোমবার এক বিশেষ সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়। জেলা বিজেপির কার্যালয়ে বেলা এগারোটায় শুরু হওয়া এই সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা ও রাজ্যস্তরের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব।সভাটির শুভারম্ভ হয় প্রজ্ঞাপার্বণ প্রজ্বলন ও ভারতমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তপসিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতি নবারুণ মেধি, সহ-সভাপতি মৃদুপবন, সাধারণ সম্পাদক রাজেশ দাস, রাজ্যসভার সদস্য কণাদ পুরকায়স্থ, বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস, জেলা বিজেপি সভাপতি রূপম সাহা, জেলা তফশিলি মোর্চার সভাপতি স্বপন শুক্লবৈদ্য, জেলা প্রভারী তথা সহ-সভাপতি অভ্রজিৎ চক্রবর্তী (ঝলক), প্রাক্তন সভাপতি নিবাস দাস প্রমুখ।সভায় উপস্থিত অতিথিদের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে ও ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দিত করেন দলীয় কর্মীরা।

স্বাগত ভাষণে জেলা সভাপতি স্বপন শুক্লবৈদ্য তফশিলি জাতির অবদান এবং সংগঠনের ঐতিহ্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তৃণমূল স্তরের কর্মীরাই যে দলের ভিত্তি, সে কথাও তিনি স্মরণ করান। রাজ্য তফশিলি মোর্চার সভাপতি নবারুণ মেধি বক্তব্যে বলেন, রাজ্যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিজেপি সরকারকে পুনর্বার ক্ষমতায় আনতে হবে। কংগ্রেসকে তিনি ‘ভ্রষ্টাচারী ও পরিবারের দল’ বলে আখ্যা দেন।

জেলা সভাপতি রূপম সাহা বলেন, তফশিলি মোর্চার কর্মীরা দলের সাফল্যে অপরিসীম ভূমিকা রাখছেন এবং ধলাইর বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। সাংসদ কণাদ পুরকায়স্থ বলেন, আগামী তিন বছরে নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি নবারুণ মেধির নেতৃত্বে তফশিলি মোর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি দলীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বিজেপি সরকার সমস্ত সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করছে, যা অতীতে কোনও সরকার করেনি।সভায় অভ্রজিৎ চক্রবর্তী (ঝলক) বলেন, সংগঠনের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে তা সংশোধনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলেই দল আরও শক্তিশালী হবে। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজেশ দাস, প্রাক্তন সভাপতি নিবাস দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা তফশিলি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক নিলেন্দু দাস। উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী সুস্মিতা পুরকায়স্থ, সম্পাদক রুমা দাস, রাজ্য কমিটির সদস্য অমিওকান্তি দাস, রূপেশ দাস, অরবিন্দ দাস, ধনঞ্জয় মালাকার সহ বহু নেতা-কর্মী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *