হারাণ দে-কে রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য করার দাবি
পিএনসি, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৪ আগস্ট : বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং উত্তরপূর্বের একজন সমাজকর্মী হারাণ দে-কে রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভার সাংসদ করার দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার কাছে আবেদন জানিয়েছেন সাউথ এনই রিজিওনাল কো-অপারেশন (SNERC) এর সংগঠক সুনীল রায়। রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত পদের মধ্যে বর্তমানে চারটি পদ খালি রয়েছে। সুনীলবাবু ৩ অগাস্ট পাঠানো আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় সিলেট জেলাকে দেওয়া হয় পূর্ব পাকিস্তানে। এর ফলে বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে অভিব্যক্ত অসমের। তাই ১৯৫৭ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত অসমের বঙ্গ ভাষীদের থেকে অর্থাৎ শ্রীহট্ট মূলের হিন্দু থেকে একের পর এক রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত সুরেশ দেব, প্রয়াত মহিতোষ পুরকায়স্থ, প্রয়াত নৃপতি রঞ্জন চৌধুরী, অধ্যাপক কমলন্দু ভট্টাচার্য ও প্রয়াত কর্ণেন্দু ভট্টাচার্য। কিন্তু, অজানা কারণে ২০০৯ সাল থেকে বরাক উপত্যকা থেকে আর কাউকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত করা হয়নি। ফলে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ভাষা ও সাংস্কৃতিক উন্নতিও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
তাই বৈষম্যের শিকার বরাক উপত্যকার তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের ভাষিক সংখ্যালঘুদের স্বার্থে রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে হারাণ দেকে মনোনীত করার দাবি জানানো হয়েছে। হারাণ দে প্রবীণ সাংবাদিক হিসাবে সুপরিচিত। ধর্ম, জাতি, উপজাতি ইত্যাদি নির্বিশেষে আসামের সমস্ত মানুষের বাস্তব সমস্যার সঙ্গে তিনি পরিচিত এবং অসমিয়া, বাঙালি এবং অন্যান্য জাতি উপজাতি সহ উত্তর পূর্বের অনেক বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই তাকে যদি রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত করা হয় তবে যে নীতিতে শ্রীহট্ট মূলের হিন্দু প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়েছিল অর্ধ শতাব্দির অধিক কাল সেই নিয়ম পুনঃ স্থাপিত হয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃ স্থাপিত হবে।