দু’দিনব্যাপী সুশাসন মেলার সূচনা চুরাইবাড়িতে
বরাক তরঙ্গ, ২৮ নভেম্বর : রাজ্যভিত্তিক চলা সুশাসন মেলার অঙ্গ হিসেবে উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লক এর অধীন চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চুরাইবাড়ি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হল প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ক্ষেত্র পর্যায়ের শিবির। মঙ্গলবার দু’দিন ব্যাপী চলবে এই শিবির। এ দিন সকাল এগারোটায় সুশাসন মেলা আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন উত্তর ত্রিপুরা জেলার সহ-সভাধিপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ। প্রথমে অতিথি বরণ এবং প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে সুশাসন মেলার সূচনা হয়। চুরাইবাড়ি এবং পূর্ব চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী এই শিবিরে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে স্টল বসানো হয়। এতে এলাকার শত শত সাধারন মানুষ তাদের বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হন এই মেলায়। বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের পাশাপাশি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি এবং সমাজসেবীরাও সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন।এদিন উদ্বোধক বিশ্বজিৎ ঘোষ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন এটা প্রশাসনিক মঞ্চ তবুও কিছুটা বলতে হয়। বিগত দিনে মানুষ যেভাবে হয়রানির শিকার হয়েছিল, সাধারণ মানুষকে তাদের মৌলিক অধিকারের জন্য যেভাবে কষ্ট করতে হয়েছিল তার থেকে পরিত্রাণ দিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত রাজ্যব্যাপী ঘরে ঘরে সুশাসন মেলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মহকুমা এই সুশাসন মেলা চলবে তার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা সরকারি প্রত্যেকটি দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে সজাগ করার জন্য এবং যেই সমস্যায় ভুগছেন কিংবা কাগজপত্রের জন্য বঞ্চনার শিকার হয়েছেন কোন ডকুমেন্ট নিয়ে কেউ যেন কোন অসুবিধায় না পড়তে হয় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আদেশ দিয়েছেন। ত্রিপুরায় ২০১৮ তে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর যেভাবে সুশাসন মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছে,যার পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় মানুষের আশীর্বাদে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাই মানুষের পাশে থাকার দায়িত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে এই সরকারের। পাশাপাশি তিনি এলাকার সকল অংশের জনসাধারণকে এই সুশাসন মেলার সুফল গ্রহণ করার জন্য আবেদন জানান। দু’দিন ব্যাপী ঘরে ঘরে এই সুশাসন মেলায় তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা মামনি রায়, চুরাইবাড়ি এবং পূর্ব চুরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সদস্যা সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা।