লোডশেডিং : অসম সরকার ও এপিডিসিএল কৰ্তৃপক্ষকে দায়ী করল কো-অর্ডিনেশন কমিটি
বরাক তরঙ্গ, ২ সেপ্টেম্বর : লোডশেডিঙের ফলে বরাক উপত্যকার জনগণের যে নাভিশ্বাস উঠছে এর জন্য অসম সরকার ও এপিডিসিএল কৰ্তৃপক্ষকে দায়ী করে অল অসম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন’র কাছাড় জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটি। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়েও এই ধরনের লোডশেডিঙের সম্মুখীন হতে হয়নি যা বর্তমানে হচ্ছে। ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় বসা রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহের চরম ব্যর্থ। সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রী এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে নীরব দর্শক বনে বসে রয়েছেন। উন্নয়নের ভাগীরথ বলে নিজেকে জাহির করা মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের কোনও কথা শুনা যাচ্ছে না। এরফলে শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি প্রায় অচল হয়ে পড়েছে এবং সাধারণ মানুষ নাজেহাল হচ্ছেন।
ন্যাশনাল গ্রিডে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় এপিডিসিএল চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছে না বলে যে বক্তব্য প্রকাশ করেছিল তা সত্য নয়। কারণ যদি দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সত্যি ঘাটতি হতো তাহলে অন্যান্য রাজ্যে একই সমস্যা হচ্ছে না কেন? সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে রাজ্য সরকার নিজেদের চাহিদা মেটানোর মতো নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকাঠামো গড়ে তুলে নি। তাই খোলা বাজার অর্থাৎ ন্যাশনাল গ্রিডের অন্তর্গত ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন উৎপাদন কোম্পানিগুলো থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করছে। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন উৎপাদন কোম্পানীগুলো প্রতি ইউনিট ১৪ টাকা দরে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে ফলে ৭ টাকা প্রতি ইউনিট হিসেবে বিক্রি করতে গিয়ে যে ঘাটতি হচ্ছে তা লোডশেডিং করে পুশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অথচ প্রিপেড ব্যবস্থা চালু করে গ্ৰাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা আদায় করা হচ্ছে, সেই টাকা তাহলে যাচ্ছে কোথায়?
প্ৰিপেড স্মাৰ্ট মিটার ব্যবস্থা চালুর আসল উদ্দেশ্য যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার মতো বিতরণ ব্যবস্থাকেও খোলা বাজারে ছেড়ে দিয়ে কর্পোরেটদের মুনাফা লুটার সুযোগ করে দেওয়া তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। সংগঠনের পক্ষ থেকে দ্রুত লোডশেডিং বন্ধের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় শক্তিশালী গ্রাহক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারী প্রদান করা হয়।