বরাক তরঙ্গ, ২৫ নভেম্বর : অসমে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা হতে চলেছে। আজ থেকে শুরু হওয়া পাঁচদিনের বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল উপস্থাপন করেন। সকালে শিল্পী জুবিন গর্গের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে আলোচনা শেষে এই বিলটি পেশ করা হয়।
অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারির অনুমতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শর্মা “অসম বহুবিবাহ প্রতিরোধ বিল, ২০২৫” বিধানসভায় উত্থাপন করেন। আলোচনার পরে কংগ্রেস, সিপিএম এবং রাইজর দল নেতা অখিল গগৈ ওয়াকআউট করায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিলটি পেশ করা হয়।
শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই বিলটি টেবিলে তোলা হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, একইদিনে মুখ্যমন্ত্রী শর্মা ১৯৮৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সংঘটিত ভয়াবহ হিংসার তদন্তকারী মেহতা কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সেই বছর নির্বাচন চলাকালীন অসমে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি টিইউ মেহতার নেতৃত্বে কমিশন গঠন করা হয়েছিল।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সালের বিদেশী বিতাড়ন আন্দোলনের সময় ১৯৮৩-র ভয়াবহ নেলী হত্যাকাণ্ডে এক রাতেই ২১০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে, এখনো তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
এছাড়াও একই সময়ে ১৯৮৩ সালের হিংসা নিয়ে গঠিত তেইওয়ারি কমিশনের গবেষণা প্রতিবেদন বিধানসভায় বিতরণ করা হয়। বিধায়কদের ডেস্কে প্রতিবেদনটির ছাপা কপি রাখা হয়।
১৯৮৩ সালের ১৪ জুলাই এই কমিশন গঠন করা হয়েছিল এবং ১৯৮৪ সালের মে মাসে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। পরে ১৯৮৭ সালে অসম গণ পরিষদ সরকার তা বিধানসভায় উপস্থাপন করলেও কখনোই তা নিয়ে আলোচনা হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী শর্মা অভিযোগ করেন এই রিপোর্ট বিধায়কদের কখনো দেওয়া হয়নি, কেবলমাত্র স্পিকারের কাছে রাখা হয়েছিল।” বিজেপি-অগপ জোট সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার শীতকালীন অধিবেশনেই প্রতিবেদনটির হার্ড ও সফট কপি বিতরণ করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে আলোচনা হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী শর্মা স্পষ্ট করেন।


