বরাক তরঙ্গ, ৩ ডিসেম্বর : শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর ১৩৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্ষুদিরাম স্মৃতি রক্ষা কমিটি। বুধবার শিলচর ডাক বাংলো পয়েন্টে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তি পাদদেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেয় এআইডিএসও, এআইডিওয়াইও, এআইএমএসএস এবং কমসোমলের কাছাড় জেলা কমিটি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহিদকে সম্মান জানিয়ে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। একে একে উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। প্রথমে মাল্যদান করেন ক্ষুদিরাম স্মৃতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক নকুলরঞ্জন পাল, তারপর পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন অনুষ্ঠানের মুখ্য অথিতি অধ্যাপক স্মৃতি পাল, এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের কাছাড় জেলা কমিটির সম্পাদক ভবতোষ চক্রবর্তী, দলের সোনাই -লাই আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক অঞ্জন চন্দ, শিলচর আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক দুলালী গাঙ্গুলি, এআইএমএসএস এর পক্ষে খাদেজা বেগম লস্কর, এআইডিওয়াইওর জেলা সম্পাদক পরিতোষ ভট্টাচার্য, এআইডিএসও’র জেলা কমিটির সহসভাপতি পল্লব ভট্টাচার্য, কমসোমলের কাছাড় জেলা আহ্বায়ক অরূপ মালাকার ছাড়াও প্রশান্ত ভট্টাচার্য, গৌরচন্দ্র দাস, আপনলাল দাস সহ উপস্থিত সবাই। এরপর বক্তব্য রাখেন ক্ষুদিরাম স্মৃতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক নকুলরঞ্জন পাল এবং আমন্ত্রিত অতিথি অধ্যাপিকা স্মৃতি পাল। বক্তারা ক্ষুদিরাম বসুর বিপ্লবী চেতনা, তাঁর নির্ভীক আত্মত্যাগ ও দেশের স্বাধীনতার জন্য অদম্য সংগ্রামের কথা স্মরণ করে বলেন যে, বর্তমান প্রজন্মের কাছে ক্ষুদিরাম কেবল ইতিহাসের একটি নাম নন, বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর এক অনির্বাণ প্রেরণা।
আলোচনায় বক্তারা আরও জানান যে, স্বাধীনতার এত বছর পরেও ক্ষুদিরামের দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তরুণ সমাজকে দেশগঠনের কাজে যুক্ত করতে এবং সামাজিক অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল করতে ক্ষুদিরাম-এর জীবন ও আদর্শ তুলে ধরা জরুরি বলে মত প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও উপস্থিতি ছিল। শেষে সবাই শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেখানো পথে সমাজগঠনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।


