বিজেপির উদ্যোগে বীর বাল দিবস পালন শিলচরে
বরাক তরঙ্গ, ২৬ ডিসেম্বর : কাছাড় জেলা বিজেপির উদ্যোগে বিভিন্ন কার্যসূচির মাধ্যমে বীর বাল দিবস পালন করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় ইটখলাস্থিত বিজেপি কাছাড় জেলা কার্যালয় থেকে বাল দিবস উপলক্ষে প্রভাত ফেরীতে দলীয় বিভিন্ন স্তরের নেতা ও কর্মীরা পদযাত্রার করে সকাল ৯টায় এনএন দত্ত রোড গুরুদোয়ারা শ্রীগুরু সিং সাবা-তে গিয়ে উপস্থিত হয়ে সেখানে গিয়ে প্রার্থনা ও লঙ্গরের প্রসাদ সেবায় যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে বিকেল ৩ টা থেকে দলীয় কার্যালয়ে বাল দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।উক্ত সভায় সম্মানিত মুখ্য হিসেবে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান অধ্যাপক নিরঞ্জন রায়, বিজেপি দলের অসম প্রদেশের সম্পাদক কণাদ পুরকায়স্থ, এপিডিসিএল -এর চেয়ারম্যান তথা দলের বরিষ্ঠ নেতা নিত্য ভূষণ দে, জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায়, সহ-সভাপতি তথা উক্ত সভার আহবায়ক অমিও কান্তি দাস, সাধারণ সম্পাদক অভ্রজিৎ চক্রবর্তী (ঝলক), গুরুদুয়ারা প্রবন্ধ কমিটির শিলচর শাখা থেকে সবজি সিং প্রমূখেরা বাল দিবস উদযাপনের তাৎপর্য নিজ-নিজ বক্তব্যে তুলে ধরেন।
সভার মুখ্যবক্তা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান অধ্যাপক নিরঞ্জন রায় বলেন, দশম এবং শেষ শিখ গুরু, গুরু গোবিন্দ সিং- এর চার পুত্রের শাহাদাতের স্মরণে ২৬ ডিসেম্বর বীর বাল দিবস পালন করা হয় । গুরু গোবিন্দ সিংয়ের চার পুত্র ছিলেন সাহেবজাদা অজিত সিং, শাহিবজাদা জুজহার সিং, সাহেবজাদা জোরওয়ার সিং এবং সাহেবজাদা ফতেহ সিং।মুঘল এবং গুরু গোবিন্দ সিংয়ের মধ্যে যুদ্ধে, সারসা নদীর তীরে দীর্ঘ, তিক্ত যুদ্ধের পর গুরুর পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে, মুঘল সম্রাট সাহেবজাদেরকে ইসলাম গ্রহণ করতে বলেন। অস্বীকার করায় তাদের হত্যা করা হয়।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভ্রজিৎ চক্রবর্তী (ঝলক) বলেন, বীর বাল দিবস’ আমাদের স্মরণ করাবে যে আমাদের সমাজে ১০ জন শিখ গুরুর কী অবদান রয়েছে। দেশের আত্মাভিমান রক্ষার ক্ষেত্রে শিখ পরম্পরার আত্মবলিদান কতটা! ‘বীর বাল দিবস’ আমাদের জানাবে যে- ভারত কী, ভারতের পরিচয় কী! প্রত্যেক বছর ‘বীর বাল দিবস’-এর এই পুন্য তিথিতে আমরা নিজেদের অতীতকে চিনবো এবং আগামী ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রেরণা পাবো। ভারতের যুব সম্প্রদায়ের সামর্থ কতটা, ভারতের যুব সম্প্রদায় কীভাবে অতীতে দেশকে রক্ষা করেছে! মানবতার কতো গহন অন্ধকার থেকে আমাদের যুব সম্প্রদায় ভারতকে বার বার বের করে এনেছে, ‘বীর বাল দিবস’ আগামী দশক গুলিতে এবং আগামী শতাব্দী গুলিতে এই বার্তাই দিয়ে যাবে। সেদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অমলেন্দু দাস, সুদর্শন চৌধুরী, গোপালকান্তি রায়, শশাঙ্ক শেখর দে সহ আরো অন্যান্যরা নেতা ও কর্মীবৃন্দরা।
প্রতিবেদক : দীপ দেব, শিলচর।