ডাঃ কুমারকান্তি দাসকে সম্মাননা জানালো বৈশ্য উন্নয়ন পরিষদ শিলচর
বরাক তরঙ্গ, ৩১ অক্টোবর : চিকিৎসক হিসাবে আজীবন সেবাকার্য সহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত বরাক উপত্যকার খ্যাতনামা শৈল্য চিকিৎসক ডাঃ কুমারকান্তি দাস (লক্ষণ দাস)-কে সম্মানিত করলো বৈশ্য উন্নয়ন পরিষদ শিলচর। মঙ্গলবার সংস্থার সভাপতি শৈলেন রায়, কার্যকরী সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শান্তনু রায়, সাধারণ সম্পাদক জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মূখ্য বাস্তুকার স্বপন রায়, গুরুচরণ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অশোক গুপ্ত, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক পার্থ দাস, গৌরাপদ রায়, জহর রায় প্রমুখ শ্রীকোণার সুন্দরী মোহন সেবা ভবন (কল্যাণী হাসপাতাল) চত্বরে উপস্থিত হয়ে হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ কুমারকান্তি দাস (লক্ষণ দাস) কে স্মারক, পুষ্পস্তবক ও উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধিত করেন। ঐসময় ডাঃ দাসের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব তথা কাছাড় জেলা গ্রামোন্নয়ন সংস্থার প্রাক্তন প্রকল্প সঞ্চালক রসরাজ দাস।
“আসাম বৈভব” সম্মান প্রদানের জন্য সংস্থার তরফে সরকারের নিকট জোরালো দাবি_____
এদিন সংস্থার কর্মকর্তারা জানান যে ব্যক্তি আজীবন দীন দরিদ্র মানুষের সেবার মাধ্যমে সমাজের মঙ্গলার্থে কাজ করেছেন তাকে আসাম বৈভব পুরস্কার প্রদানের জন্য আমরা সরকারের নিকট জোরালো দাবি জানাই। তাঁর এধরণের সেবামূলক কাজ নব প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মত ব্যক্ত করেন বৈশ্য উন্নয়ন পরিষদের কর্মকর্তারা। সংস্থার সভাপতি শৈলেন রায় বলেন আমরা আসাম সরকারের নিকট অনুরোধ রাখছি যে একজন নির্লোভ, পরোপকারী, সেবাপরায়ণ ডাক্তার হিসাবে পরিচিত ডাক্তার কুমার কান্তি দাসকে আসাম বৈভব সম্মাননা প্রদান করা হোক এবং সরকার যেন জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খবর নিয়ে জানার চেষ্টা করে ঐ মানুষটি আসাম বৈভবের জন্য কতটুকু যোগ্য। তিনি জানান প্রচার বিমূখ ডাঃ কুমারকান্তি দাস গরীব দুঃখীর জন্য যে ভাবে সেবাকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন তা সত্যিকার অর্থে প্রশংসার যোগ্য।
দক্ষিণ অসমের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকে অসম, ত্রিপুরা, মিজোরাম এমনকি পড়শী রাষ্ট্র বাংলাদেশের হাজার হাজার রোগীকে বিনা পারিশ্রমিকে সেবা করে যাওয়া এহেন প্রতিথযশা ডাক্তার যাদের তিন প্রজন্ম ডাক্তার তাকে অসম বৈভব প্রদান করলে খুদ আসাম সরকার নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করবে বলে মন্তব্য করেন বৈশ্য উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি শৈলেন রায়। তিনি এও বলেন, ডাক্তার কুমার কান্তি দাসকে এই সম্মাননা প্রদান করলে সমাজে একটা ভালো বার্তা যাবে, খুশি হবেন সমাজের সকল স্তরের জনগণ ।