সাতটি দেশের নাগরিকদের প্রবেশ বন্ধ করলেন ট্রাম্প

১৭ ডিসেম্বর : জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থে আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ বন্ধ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এই বিষয়ে একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প।এনিয়ে ১৯টি দেশের নাগরিকদের পুরোপুরি আমেরিকায় প্রবেশ বন্ধ হল।

আমেরিকা অতীতেও অনেক দেশের ক্ষেত্রে এমন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সেক্ষেত্রে অনেক দেশ আবার অনেক দেশ সম্পূর্ণ ওই নিয়মের আওতায় পড়ছে।

এবার ট্রাম্পের ঘোষণার ফলে নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ পয়লা জানুয়ারি থেকে আমেরিকায় ঢুকতে পারবেন না বুরকিনা ফাসো, নাইজার, মালি, দক্ষিণ সুদান এবং সিরিয়ার নাগরিকরা। আগে আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা লাওস এবং সিয়েরা লিওনের মতো দেশগুলিকে এবার পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় জোড়া হল। তবে নতুন ঘোষণাপত্রে কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের কথা বলা হয়েছে।

ট্রাম্পের নয়া ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা, ক্রীড়াবিদ, কূটনীতিকদের মতো নির্দিষ্ট ভিসাপ্রাপকদের নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে।

গত জুনে ১২টি দেশের উপর এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। সেই দেশগুলি হল— আফগানিস্তান, মায়ানমার, রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ইকিউটোরিয়াল গিনি, চাদ,  ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, সোমালিয়া, সুদান, লিবিয়া এবং ইয়েমেনের বাসিন্দারা। আর আংশিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল কিউবা, বুরুন্ডি, টোগো, ভেনেজুয়েলা ও তুর্কমেনিস্তানের নাগরিকদের ওপর। তবে নতুন ঘোষণাপত্র অনুযায়ী তুর্কমেনিস্তানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা (Prohibition) প্রত্যাহার করা হয়েছে।

২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রথম দফায় সাতটি ‘মুসলমান প্রধান দেশের’ ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। পরে উত্তর কোরিয়া এবং ভেনেজুয়েলা মুসলিম প্রধান দেশ না হওয়া সত্ত্বেও ওই দুই দেশকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়। পরে অবশ্য জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন। আবার ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হয়ে নিষেধাজ্ঞার পথেই হাঁটলেন। এছাড়াও তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। অর্থাৎ, আগে আমেরিকার বাসিন্দাদের স্বার্থ দেখা হবে। তারপরে অন্য দেশের কথা ভাবা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *