বরাক তরঙ্গ, ২৬ ডিসেম্বর : পশ্চিম কার্বি আংলং-এর অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর শুক্রবার দিসপুরের জনতা ভবনে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কার্বি আংলং-এর সিইএম এবং কার্বি আংলং-এর বিভিন্ন দল ও সংগঠনের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কার্বি আংলং-এর পিজিআর ও ভিজিআর জমিতে হওয়া অবৈধ দখল উচ্ছেদের দাবিতে পশ্চিম কার্বি আংলং-এর খেরেনির ফেলাংপি এলাকায় আমরণ অনশন করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন সচেতন যুবক ও বিভিন্ন সংগঠন। তাঁদের দাবির প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত সরকার শুক্রবার ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় বসে।
দিসপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, কার্বি আংলং স্বায়ত্ত শাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য তুলিরাম রংহাং, আলোচনার দাবিতে আন্দোলনকারী দলের নেতা লিটচন রংফার-সহ কার্বি আংলং-এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “পশ্চিম কার্বি আংলং-এর পরিস্থিতি নিয়ে আজ দিসপুরে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ভিজিআর ও পিজিআর জমি সংক্রান্ত বিষয়টি বর্তমানে গৌহাটি হাইকোর্টের একক বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে; কিন্তু এই বিষয়ে কার্বি আংলং স্বায়ত্ত শাসিত পরিষদ এখনও পর্যন্ত শপথনামা দাখিল করেনি। সে কারণে পুরো বিষয়টি এখনও আদালতে নিষ্পত্তি হয়নি। আজকের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরিষদ ৫ জানুয়ারির আগে আদালতে শপথনামা দাখিল করবে। পাশাপাশি কার্বি জনগণও আদালতে একটি পক্ষ হিসেবে নিজেদের নথিপত্র পেশ করবে। রাজ্য সরকারও দ্রুত রায় প্রদানের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানাবে, যাতে আদালতের রায় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”


