বরাক তরঙ্গ, ২৪ ডিসেম্বর : রুসা ২.০ / পিএম–উষা প্রকল্পের পৃষ্ঠপোষকতায় মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে দুইদিনব্যাপী “রুসা ২.০ / পিএম–উষা, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ বাস্তবায়ন এবং অগ্রণী গবেষণা” শীর্ষক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা । এই কর্মশালার আয়োজন করেছে গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়, শিলচর এবং সহযোগীতায় রয়েছে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসি মালব্য মিশন শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র । বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই কর্মশালায় ৩৭ টি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদদের সক্রিয় অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায় ।
এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ সেশনে বক্তব্য রাখেন নারায়ণ কোয়র, আইএএস, আসাম সরকারের উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব ও রুসা / পিএম–উষার ব্যবস্থাপনা পরিচালক । সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলা এই সেশনে তিনি বরাক উপত্যকায় রুসা / পিএম–উষা প্রকল্পগুলির বর্তমান অগ্রগতি, বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন । এছাড়াও, তিনি দক্ষতা উন্নয়নমূলক কোর্স, ইন্টার্নশিপ এবং গবেষণাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-এর কার্যকর বাস্তবায়ন নিয়ে আলোকপাত করেন।
গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিরঞ্জন রায়, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ বাস্তবায়নে একাডেমিক নেতৃত্বের দায়িত্ব, নীতি নির্ধারণে শিক্ষাবিদদের ভূমিকা এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুণগত পরিবর্তন আনার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদভাবে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য শক্তিশালী একাডেমিক নেতৃত্ব, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং শিক্ষক-গবেষকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য । তিনি দক্ষতা-ভিত্তিক শিক্ষা, গবেষণা-সংস্কৃতি বিকাশ এবং শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক পাঠ্যক্রম গঠনের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
উল্লেখ্য, এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হলো রুসা ২.০ ও পিএম–উষা প্রকল্পের আওতায় উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কার, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-এর কার্যকর বাস্তবায়ন এবং সমসাময়িক ও অগ্রণী গবেষণার দিকনির্দেশনা তুলে ধরা। বিভিন্ন সেশনে জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন, গবেষণায় নতুনত্ব এবং উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। দু’দিনব্যাপী এই কর্মশালা বজ ২৪ ডিসেম্বর সমাপ্তি হবে।


