ঐতিহাসিক কাকোরী কাণ্ডের শহিদদের শ্রদ্ধা জানাল তিন সংগঠন
বরাক তরঙ্গ, ১৯ ডিসেম্বর : ১৯২৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক কাকোরী কাণ্ডের শহিদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে এআইডিএসও, এআইডিওয়াইও, এআইএমএসএস এর কাছাড় জেলা কমিটি। সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় শিলচরের সদরঘাট সংলগ্ন স্থানে বিপিন পালের মূর্তির পাদদেশে জড়ো হয়ে অমর শহিদ রামপ্রসাদ বিসমিল, আসফাকউল্লা খান, রাজেন্দ্র লাহিড়ী ও ঠাকুর রৌশন সিংদের স্মরণ করা হয়। এ উপলক্ষ্যে সেখানে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন এআইডিএসও’র সর্বভারতীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিল্লোল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ১৯২৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক কাকোরী কাণ্ডের বীর বিপ্লবী রামপ্রসাদ বিসমিল, আশফাকউল্লা খান, রাজেন্দ্র লাহিড়ী, ঠাকুর রৌশন সিং দের বৃটিশ সরকার বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। তারা মুলত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের আপসহীন ধারার হিন্দুস্থান স্যোসিয়েলিষ্ট রিপাবলিকান আর্মির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাদের সংগঠনের অন্যতম সদস্য ছিলেন ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ প্রমুখ মহান বিপ্লবী। তাদের সংগঠনের লক্ষ্য ছিল ভারতের ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, দেশ যদিও রাজনৈতিক ভাবে স্বাধীন হয়েছে কিন্তু বিপ্লবীদের কাঙ্খিত অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতা আজও জনগণ পাননি। বৃটিশ সরকারের পতন ঘটলেও দেশের কর্পোরেট গোষ্ঠীর স্বার্থে বর্তমান সরকার পরিচালিত হচ্ছে। ফলে শাসকের পরিবর্তন হলেও দেশের ৯৫ শতাংশ জনগণ পুঁজিপতিদের শোষণের শিকার। পুঁজিপতিদের শাসন শক্তিশালী করতে দেশে ব্রিটিশদের মতোই ধর্মের নামে, ভাষার নামে বা জাতের নামে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। তিনি মহান বিপ্লবীদের আত্মবলিদানের চেতনাকে পাথেয় করে আগামীতে জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আপসহীন গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগঠিত করতে সবাইকে আহ্বান জানান। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন এআইডিওয়াইও’র জেলা সভাপতি অঞ্জনকুমার চন্দ, পরিতোষ ভট্টাচার্য, দিলীপ রী, এআইএমএসএস এর সম্পা দে, এআইডিএসও’র জেলা সভাপতি স্বাগতা ভট্টাচার্য, সহসভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য, পল্লব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, ১৯২৫ সালের ৯ আগস্ট সংঘটিত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের আপসহীন ধারার অন্যতম ঐতিহাসিক ঘটনা কাকোরীর রেল কাণ্ডটি।