বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই তিনটি গৃহ জামালপুরে

রাজীব মজুমদার, ধলাই।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ মে : বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পড়ে ছাই হয়ে গেছে তিনটি গৃহ। শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটা নাগাদ এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় তিনটি বসতগৃহ। পরনের বস্ত্র নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন বাসিন্দারা। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পরিবারের সদস্যরা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি সংঘটিত হয় ধলাইয়ের জামালপুর গ্রামে। গ্রামের বাসিন্দা আতাবুর রহমান বড়ভূইয়া ও তাঁর দুই ছেলে ফয়জুল হক বড়ভূইয়া, সিরাজ উদ্দিন বড়ভূইয়া একই বাড়িতে পৃথক পৃথক তিনটি গৃহে বসবাস করেন। আতাবুর রহমানের ঘরে লাগানো বিদ্যুতের  মিটারে আগুন প্রত্যক্ষ করেন পরিবারের লোকরা। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সম্পূর্ণ ঘরে। চিৎকার চেঁচামেচিতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় মানুষ। শুরু হয় আগুন নেভানোর  চেষ্টা।

খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। অন্তত দেড় ঘন্টা দেরিতে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইঞ্জিন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁচার আগেই আতাবুর রহমান সহ তার দুই ছেলের ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশে থাকা আরও একটি ঘর। তিনটি গৃহের আসবাবপত্র সহ যাবতীয় নথিপত্র সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গিয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে।

বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই তিনটি গৃহ জামালপুরে

ফায়ার ইঞ্জিন দেরিতে পৌঁচার জন্য ভাগাবাজারের যানজটকেই দায়ী করছেন স্থানীয় মানুষ। ভাগাবাজারে তীব্র যানজট নিত্যদিনের। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবরে ধলাই থেকে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইঞ্জিন। যানজটের জন্য ভাগাবাজার পার করতে সময় লেগে যায় অন্তত আধঘন্টা। স্থানীয় মানুষ ক্ষোভের  সুরে বলেন, বাজারের যানজট না থাকলে অন্তত আধঘন্টা আগে পৌঁছাতে ফায়ার ইঞ্জিন গুলো। আর সময়মতো ফায়ার ইঞ্জিন পৌঁছালে ক্ষয়ক্ষতি হয়তো অনেকটা কম হতো।

Author

Spread the News