রেল পুলিশের মারে বেরিয়ে পড়ল যুবকের নাড়িভুড়ি
২৮ জুলাই : নৃশংস বললেও কম বলা হবে। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী বিহারের জনকপুর রোড রেল স্টেশনে। ট্রেনে বসার জায়গা নিয়ে বচসার জেরে রেল পুলিশের মার। পেটে একের পর এক লাঠির বাড়ি পড়তেই পেট ফেটে বেরিয়ে এল নাড়িভুঁড়ি। চারিদিক ভেসে যায় রক্তে। এমন ঘটনায় স্তম্ভিত যাত্রীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মুম্বইগামী কর্মভূমি এক্সপ্রেস ধরতে গিয়েছিলেন মহম্মদ ফুকরান নামের এক যুবক।
বিহারের সীতামারিহ জেলায় বৃহস্পতিবার রাতে জনকপুর রোড রেল স্টেশনে মুম্বইগামী কর্মভূমি এক্সপ্রেস ঢুকতেই যাত্রীদের ভিড়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সিট নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে বচসা-হাতাহাতি বেঁধে যায়। ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ শুরু করে জিআরপি। দুই পুলিসকর্মীর লাঠির আঘাত গিয়ে পড়ে ফুকরানের পেটে। তখনই বেরিয়ে আসে নাড়িভুঁড়ি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে মুজাফ্ফরপুরের শ্রী কৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুদিন আগেই অস্ত্রোপচার হয়েছিল ওই যুবকের। লাঠির বাড়ি পড়তেই সেলাই কেটে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে নাড়িভুঁড়ি। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, দুই ব্যক্তি ফুরকানকে নিয়ে ছুটছেন। পেছনে পেছনে লোকজনও দৌঁড়চ্ছেন। ভিডিয়োতে এক ব্যক্তিকে বলতেও শোনা যায়, “দেখুন, কেমন বেদম মারধর করেছে পুলিশ।”
ফুরকানের দাবি, তিনি বারবার তার পেটের অস্ত্রোপচারের কথা বলেছিলেন, কিন্তু জিআরপি কর্মীরা তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। প্রায় দুই বছর আগে ফুরকানের অন্ত্রের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের জায়গায় লাঠির আঘাতের কারণে, তার পেট বাম পাশে খুলে যায় এবং অন্ত্র বেরিয়ে আসে। ঘটনার পর অশান্তি শুরু হয় স্টেশন চত্বরে। ইতিমধ্যেই ওই দুই জিআরপিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।