সহধর্মিণীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন স্বামী

বরাক তরঙ্গ, ২৪ এপ্রিল: সত্যিকারের প্রেমের সামনে কোনও বাধাই টিকে না” — প্রবাদটি ফের একবার সত্য প্রমাণ করল ত্রিপুরার শান্তিরবাজারের এক ব্যতিক্রমী ঘটনা। ভালোবাসা মানে ছাড় দেওয়া নয়, পাশে দাঁড়ানো — এক স্বামীর অসাধারণ সিদ্ধান্ত। একদিকে দাম্পত্য জীবনের চিরাচরিত রূপ, অন্যদিকে হৃদয়ের গভীর ভালোবাসা। এর মাঝখানে দাঁড়িয়ে এক স্বামী নিজেই তুলে দিলেন তার সহধর্মিণীকে প্রেমিকের হাতে সম্মান ও সামাজিক স্বীকৃতিসহ। ত্রিপুরার বীরচন্দ্র মনু এলাকায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি সমাজে আলোড়ন তুলেছে যেমন, তেমনি মানবিকতার এক নতুন উদাহরণ হিসেবেও উঠে এসেছে সামনে। ত্রিপুরার শান্তিরবাজার মহকুমার বীরচন্দ্র মনু এলাকা সম্প্রতি সাক্ষী থাকল এমনি এক ব্যতিক্রমী ও অভূতপূর্ব ঘটনার। যেখানে দাম্পত্য জীবনের টানাপড়েন, পারিবারিক অশান্তি এবং প্রেমের টানে এক নারীর সিদ্ধান্তে সামাজিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে একটি নাম নয়ন সাহা। যিনি নিজে উপস্থিত থেকে স্ত্রীকে তার প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে দিলেন সামাজিক স্বীকৃতিসহ।

পরকীয়া নিয়ে চলতে থাকা চর্চার পর একদিন স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গৃহবধূ এবং যুবককে একসঙ্গে দেখে ফেলেন এবং তাদের আটক করে বিষয়টি পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেন। শুরু হয় আলোচনার পর্ব একদিকে সমাজের চোখরাঙানি, অন্যদিকে ভালোবাসার জোর। সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যদি তারা দু’জন পরস্পরকে ভালোবাসেন এবং একসঙ্গে থাকতে চান, তবে সামাজিকভাবে তা বৈধতা দেওয়া উচিত। সেই মতো স্থানীয় এক কালীমন্দিরে একত্রিত হন এলাকাবাসী, আত্মীয়স্বজন ও স্বয়ং নয়ন সাহা। যা ঘটে এরপর, তা নিঃসন্দেহে সমাজে এক নতুন বার্তা বহন করে। নয়ন সাহা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সহধর্মিণীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দেন।

সহধর্মিণীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন স্বামী

এ প্রসঙ্গে স্বামী নয়ন বলেন, “আমি চাই, ও যেন ভালো থাকে। আমি জানি, আমার সংসারে ও শান্তি পায়নি। যদি ও ওখানে সুখ পায়, তবে সেটাই আমার জন্য শান্তির।অপরদিকে নবদম্পতি জানিয়েছেন, তারা একে অপরকে ভালোবাসেন এবং একসাথে নতুন জীবন শুরু করতে প্রস্তুত।”

Author

Spread the News