৯০ শতাংশ নদী গর্ভে, ভবন ছাড়লেন ইস্ট গোবিন্দপুর এমই স্কুলের শিক্ষকরা
কেএইচ লস্কর, লক্ষীপুর।
বরাক তরঙ্গ, ১০ আগস্ট : নথিপত্র ও আসবাবপত্র যতটুকু পারছেন ততটুকু নিয়ে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। শনিবার এমন এক দৃশ্য দেখা গেল লক্ষীপুরের পূর্ব গোবিন্দপুরে। চার বছর ধরে বরাক নদীর রাক্ষসী ভাঙনের কবলে পড়ে অবশেষে স্কুলের বৃহৎ অংশ নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। শনিবার নিরূপায় হয়ে নথিপত্র ও আসবাবপত্র নিয়ে স্কুল গৃহ ছেড়ে বেরিয়ে পড়লেন লক্ষীপুর প্রাথমিক শিক্ষা খণ্ডের অধীন ইস্ট গোবীন্দপুর এমই স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন লস্কর বলেন, শনিবার সকাল পর্যন্ত বরাক নদীর ভাঙনে স্কুলের প্রায় নব্বই শতাংশ চলে গেছে। বিইইও-কে ফোনে অবগত করে তাঁরা স্কুল ছাড়ছেন বলে জানান।
সোমবার থেকে কোথায় ক্লাস চলবে ১১৫ জন পড়ুয়ার। এক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় জনগণ সহ অভিভাবকরা ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, সরকার ও বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের অবহেলার দরুন আজ পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ এক প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা বলেন, প্রধান শিক্ষক, স্কুল পরিচালন সমিতি, স্থানীয় জনগণ নদী ভাঙনের কথা শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনলেও গুরুত্ব দেওয়া হল না।
গত চার বছর থেকে বরাক নদীর ভাঙনের শিকার লক্ষীপুর প্রাথমিক শিক্ষা খণ্ডের অধীন ইস্ট গোবিন্দপুর এমই স্কুল স্থানান্তরিত করার দাবি জানিয়ে ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করতে বারবার আবেদন করেন। প্রায় দেড়বছর আগে স্থানীয় আজিম উদ্দিন চৌধুরী স্কুল ভবন নির্মাণের জন্য জমি দান করেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত ভবন নির্মাণের জন্য শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়।