ফ্রান্সে সর্বাধিক আসন বাম জোটের
৯ জুলাই : অতি দক্ষিণপন্থি শক্তিকে আটকাতেই জোটবদ্ধ হয়েছিল ফ্রান্সের বামপন্থি শক্তিগুলি। কিন্তু তারা যে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে, তা কেউ ভাবেনি।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (ইইউ) নির্বাচনে হারার পর সময়ের আগেই ফ্রান্সের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্স এমানুয়েল মাক্রোঁ। স্ন্যাপ ইলেকশন বা দ্রুত নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। ফ্রান্সে নিজের জনপ্রিয়তা নতুন করে তৈরি করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মাক্রোঁ। কিন্তু তিনি যা ভাবেছিলেন, বাস্তবে তা হলো না।
গোটা ইউরোপের মতোই ফ্রান্সেও দক্ষিণপন্থিদের রমরমা ক্রমশ বাড়ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনে তার প্রতিফলন দেখা গেছে। এই পরিস্থিতিতে অতি দক্ষিণপন্থিদের জনপ্রিয়তা কমাতে জোটবদ্ধ হয়েছিল ফ্রান্সের বামপন্থি দলগুলি। এটি একটি বৃহত্তর জোট হিসেবে সামনে এসেছিল। যার মধ্যে অতি ছোট বামপন্থি দল যেমন আছে, তেমনই সমাজতান্ত্রিক, গ্রিন পার্টির মতো দলও আছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল দক্ষিণপন্থিদের জনপ্রিয়তা কমানো।
জোটের নাম দেওয়া হয়েছিল নিউ পপুলার ফ্রন্ট। রবিবারের নির্বাচনের পর দেখা গেল সেই জোট সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। যদিও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় কেউ পৌঁছাতে পারেনি। সব মিলিয়ে তাদের দখলে ১৮২টি আসন। তার ঠিক পরেই আছে মাক্রোঁর মধ্যপন্থি দলের নেতৃত্বে তৈরি জোট এনসেম্বল। তৃতীয় স্থানে দক্ষিণপন্থি এনআর। আর চতুর্থ স্থানে রিপাবলিকান দল। তারা পেয়েছে ৪৫৬টি আসন।
সোমবার ফলাফলের পূর্বাভাস দেখেই বামপন্থি জোটের অন্যতম নেতা জঁ লুক মেলঁশঁ ঘোষণা করে দেন, তারাই সরকার গড়বেন। লেফট উইং ফ্রান্স আনবোড (এলএফআই) দলের নেতা তিনি। এই ঘোষণার সময় তার পাশে ছিলেন জোটের অন্য় নেতারাও।
এরপর গ্রিন পার্টির প্রধানও একই কথা বলেন। তিনি জানান, ”আমরা জিতেছি। আমরাই সরকার গঠন করব।’ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রধান অলিভার ফউরে বলেছেন, ”নতুন ইতিহাসের মুখোমুখি ফ্রান্স। পপুলার ফ্রন্টকেই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।” তার ভাষণে তাদের লক্ষ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন ফউরে। জানিয়ে দিয়েছেন, কোনোভাবেই তারা মধ্যপন্থি জোটের সঙ্গে হাত মেলাবেন না।
খবর : দৈনিক ইনক্লাব পত্রিকা।