অতিরিক্ত ঝাঁকুনি, এক্স হ্যান্ডেলে সতর্কতামূলক পোস্টে সাড়া রেলের

বরাক তরঙ্গ, ২৪ জুলাই : ট্রেন চলাকালীন একটি কামরায় অতিরিক্ত ঝাঁকুনি হচ্ছিল। এনিয়ে দুই যাত্রী এক্স হ্যান্ডেল ও মেলে অভিযোগ করেন। মুহূর্তে সাড়া দিলেন বিভাগীয় কর্তারা। তবে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ, এসি কামরা সত্ত্বেও একটি দরজা বিকল। ঠিকমতো লাগছিল না দরজাটি। ফলে এসির হাওয়াও লাগছিল না একাংশ যাত্রীর। অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে ‘বাতনুকূল কামরা’ নেওয়ার পরও সুবিধা থেকে বঞ্চিত একাংশ যাত্রী। এরচেয়ে বড় বিষয়, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন একাংশ যাত্রী। ঘটনা মঙ্গলবার রাতে ১৫৬২৫ নম্বরের দেওঘর-আগরতলা এক্সপ্রেসের বি৫ নম্বর কোচে।

দেওঘর-আগরতলা এক্সপ্রেসের এসি কামরার দরজা বিকল, একাংশ কর্মী মদ্যপ! অভিযোগ

এদিন বিকেলে গুয়াহাটি থেকে এই ট্রেনের বি ৫ কামরায় চড়েন ‘গতি দৈনিক’ পত্রিকার কাটিগড়ার স্টাফ রিপোর্টার শমীন্দ্র পাল। কিন্তু ট্রেনে চড়ার পর থেকেই দ্রুত গতিতে ট্রেন চলাকালীন অতিরিক্ত কম্পনের সৃষ্টি হয়। আবার ধীর গতিতে চললেও ঝাঁকুনি হয়। ওই সময় অন্য এক যাত্রীও সেটা নিয়ে কথা তুলেন। এই দু’জনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে অন্যান্য যাত্রীরাও জানান, এই ধরনের ঝাঁকুনি সোমবার থেকেই হচ্ছে। কিন্তু তারা এনিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি। যাইহোক, দেরি না করে শমীন্দ্র পাল রেল বিভাগ ও মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিও সহ বিষয়টি পোস্ট করেন। এরই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও পোস্ট করেন। অন্য এক যাত্রী ই-মেলে বিভাগকে বিষয়টি অবগত করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে শমীন্দ্র পালের পিএনআর নম্বর এবং মোবাইল নম্বর চেয়ে রিপ্লাই করা হয় রেলওয়ে পরিষেবা থেকে। কথা মত তিনি পিএনআর নম্বর এবং মোবাইল নম্বর প্রেরণ করলে এক ঘণ্টার মধ্যেই বিভাগীয় তরফে প্রবীর দেবনাথ ও দিলীপ দেবনাথ নামের দুই কর্তা শমীন্দ্র পালের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে শীঘ্রই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।

অতিরিক্ত ঝাঁকুনি, এক্স হ্যান্ডেলে সতর্কতামূলক পোস্টে সাড়া রেলের

এদিকে, সিঅ্যান্ডডব্লিউ কন্ট্রোল লামডিং থেকে একজন টেকনিশিয়ান এসে ট্রেনের ওই কামরার টেকনিক্যাল সাপোর্ট পরীক্ষা করেন। টেকনিশিয়ান জানান, তারা পরীক্ষা করে কোনও ত্রুটি পাননি। তখন অন্য যাত্রীরাও অতিরিক্ত ঝাঁকুনির কথা তুলে ধরলে এনিয়ে চিন্তার বিষয় নয় বলে অভয় দেন টেকনিশিয়ান। কিন্তু অতিরিক্ত ঝাঁকুনির কারণ সম্পর্কে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। একই কামরায় এক দিকের একটি দরজা বিকল হয়ে পড়ায়, ওই কোচের একাংশ যাত্রী বাতাকূল ব্যবস্থার সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে জানান।

তাঁদের কথায়, দরজা বিকল হতেই পারে, সেটা মেরামত করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু একাংশ ট্রেনের কর্মী নাকি মদ, গাঁজা খেয়ে কর্তব্য পালন করছেন। এমন কি কর্মীরা নিজেদের মধ্যে অশ্রাব্য গালিগালজ করতেও তাঁরা শুনতে পান। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন। বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

Author

Spread the News