আইজল রেল সেতু ভেঙে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯, বাড়ার আশঙ্কা, শোক প্রধানমন্ত্রীর
বরাক তরঙ্গ, ২৩ আগস্ট : আইজলের সাইরেন এলাকায় নির্মীয়মান রেল সেতু ভেঙে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হল। বুধবার সকালের দিকে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়। নির্মীয়মান রেল সেতুর একটি ফিলার হেলে পড়লে রেলিং ভেঙ্গে নিচে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু ঘটে ১৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে মৃত্যু ঘটে আরও দুই শ্রমিকের। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯ জনে। এখনও আশঙ্কা জনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন কয়েকজন।
ভৈরবী থেকে আইজল পর্যন্ত রেল পথ নির্মাণের কাজ চলছে দীর্ঘদিন থেকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মিজোরামের রাজধানী শহর আইজল রেল মানচিত্র সংযুক্ত হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো জোরকদমে চলছিল কাজ। আইজলের কাছে সাইরেন এলাকায় সেতুতে কাজ করছিলেন অন্তত ২৫ জন শ্রমিক ৷ কর্মরত অবস্থায় আজ সকাল দশটার দিকে হঠাৎ হুড় মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে নির্মিয়ে নির্মাণ সেতুর এক বৃহৎ অংশ। এতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু ঘটে ১৭ জনের। দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধার অভিযানে নামে এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, মিজো প্রশাসন ও মিজো সংগঠন। রেল সূত্র জানিয়েছে মৃত সকলে পশ্চিমবঙ্গে নাগরিক।
ঘটনার খবর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মিজোরামের পরিবহন মন্ত্রী টিজে লালনুন্টলুয়াঙ্গা, সাংসদ সি লালরোসাঙ্গা। মৃতদেহ গুলো উদ্ধার করে মরণোত্তর পরীক্ষার জন্য নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সাইরাং দিনথার ওয়াইএমএ হলে। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্ত এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। রেল বিভাগ মৃতদেহ গুলো বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন নব চৌধুরী (২১), মোজাম্মেল হক (২৭), নরিম রহমান (১৯), রঞ্জিত সরকার (৪৪), কাশিম শেখ (২১), সামরুল হক (২১), ঝল্লু সরকার (৫৫), সাকিরুল শেখ (২২), মাসরেকুল হক (২১), সাইদুর রহমান (৩৭), রহিম শেখ (২২), সুমন সরকার (১৬), শরিফুল শেখ(২০) আনসারুল হক (২৪), জয়ন্ত সরকার (২৭), জাহিদুল শেখ (৩২), মণিরুল নাদাপ ও কেবল মিয়া। মৃত সকলেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা জেলার বাসিন্দ। মৃতদেহ গুলো পৌঁছে দিতে মিজো সংগঠন ওয়াইএমএ সদস্যরা তোড়জোড় শুরু করেছেন।
এ দিকে, মিজোরামে রেলসেতু দুর্ঘটনায় শোকার্ত মোদী, মৃতদের পরিবারকে ১২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।