সোনাইয়ে নৌকাডুবিতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু, সবার দেহ উদ্ধার, গোটা গ্রাম শোকহত
নিপ্পু লস্কর, সোনাই।
বরাক তরঙ্গ, ৪ জুন : সোনাই পূর্বাঞ্চলের মধুরবন্দি গ্রামে শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল দিকে বাবা ও ছেলে সহ ছয়জনের মৃতদেহ এলাকায় পৌছালে কান্নার রোল উঠে। সোম ও মঙ্গলবার দু’দিনের তল্লাশিতে নৌকা ডুবি ঘটনায় ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকেলে দেহগুলো গ্রামে পৌছলে সবার চোখ জলে ভরে যায়। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মঙ্গলবার বিকেলে স্পিডবোট করে একই জল পথে হাসান উদ্দিন ও তার ছেলে মনিয়ার হোসেন সহ তিনটি দেহ নিয়ে ওই গ্রামে পৌঁছেন সমাজকর্মী আওলাদ হোসেন লস্কর।
এ দিন সকালে এসডিআরএফ ও এনডিআরএফ বাহিনীর যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয় তিন ব্যক্তির মৃতদেহ। আরও ঘণ্টা দুয়েক পর আরেক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। এঁরা হলেন হাসান উদ্দিন (৩০), আমির উদ্দিন মজুমদার (৬০), তৈয়ীবুর রহমান (২৫) ও আরিফ আহমদ (২৫)।
উল্লেখ্য, এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয় সোমবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে ১৩ বছর বয়সী মনিয়ার হোসেন নামে কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সন্ধ্যায় জামাল উদ্দিনে নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।
এ দিন দশজন যাত্রী নিয়ে মধুরবন্দি গ্রাম থেকে বাজারের উদ্দেশ্যে আসছিল একটি নৌকা। মাঝখানে পৌছার পর বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হয়। সেসময় তাঁরা নৌকাটি রাস্তার উপর রাখতে চাইলেও পারেননি। বাতাসে নৌকাটি ডুবে যায়। মাঝি সহ সব যাত্রী বন্যার জলে পড়ে যান। এরমধ্যে চার যাত্রী বিদ্যুতের খুঁটিতে ধরে থাকলে অন্যরা আরেকটি নৌকা নিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। তাঁরা হলেন আকলিম উদ্দিন (৩৬), আজিম উদ্দিন (২৪) ও সাবুল আহমেদ (৩৫)।