ডিলিমিটেশন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ রক্ষা সমন্বয় কমিটির

বরাক তরঙ্গ, ১২ সেপ্টেম্বর : নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি, আসাম এর পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে শিলচরের ইলোরা হেরিটেজ হলে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে ডিলিমিটেশন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর শিলচর সফরে প্রদান করা বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয়। সংগঠনের চেয়ারম্যান তপোধীর ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে কিশোর কুমার ভট্টাচার্য ও অরুণাংশু ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি সুব্রত চন্দ্র নাথ, সম্পাদক যথাক্রমে সিহাব উদ্দিন আহমেদ, ড. এম শান্তি কুমার সিংহ, হিল্লোল ভট্টাচার্য, হাইলাকান্দির আলতাফ হোসেন লস্কর ও চাম্পালাল দাস প্রমুখের উপস্থিতিতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে কো-চেয়ারম্যান সাধন পুরকায়স্থ ও দুই আইনজীবী যথাক্রমে আলি রাজা ওসমানি ও আব্দুল হাই লস্কর সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের অসাংবিধানিক ভাবে সম্পন্ন করা ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা বলেছেন ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট ত্রুটি রয়েছে ফলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সামনে তা সঠিক ভাবে তুলে ধরলে বরাক উপত্যকা সহ রাজ্যবাসী ন্যায় বিচার পাবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জেলা সহসভাপতি সীমান্ত ভট্টাচার্য, সিপিআই (এম) এর জেলা সম্পাদক দুলাল মিত্র, এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের জেলা সম্পাদক ভবতোষ চক্রবর্তী, সিপিআই এর জেলা সম্পাদক লোকনাথ দেবরায়, সি পি আই (এম এল) লিবারেশন এর জেলা কমিটির সদস্য অসীম নাথ, ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি’র প্রদীপ নাথ, অরিন্দম দেব, ইয়াসি’র সভাপতি সঞ্জীব রায়, সারা আসাম হরিজন উন্নয়ন সমিতির ব্রজলাল রবিদাস  প্রমুখ বলেন বরাক উপত্যকার জনগণ দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা আসন কমিয়ে দেওয়াকে কোন ভাবেই জনগণ মেনে নিতে পারছেন না।

প্রত্যেকের মনে এনিয়ে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে যা ইতিমধ্যেই সর্বাত্মক বনধ্, ধরনা, গণমিছিল, কালো দিবস, সত্যাগ্রহ, মশাল মিছিল ইত্যাদি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। গত ২০-২১ জুলাই নির্বাচন কমিশনের ডিলিমিটেশন সম্পর্কিত গণশুনানিতেও বরাক উপত্যকার বেশির ভাগ সংগঠন ও নাগরিকেরা অংশ গ্রহণ করে ডিলিমিটেশনের নামে বরাক উপত্যকার গুরুত্বপূৰ্ণ দুটো আসন কেড়ে নেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। শাসকদলের বহু নেতাও গুয়াহাটিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বরাক উপত্যকার জনগণের অসন্তোষ নেই বলে যে মন্তব্য করেছেন তা সঠিক নয়। সিআরপিসিসি, আসাম এর পরিচালন সমিতিতে বরাক উপত্যকার তিন জেলার বিশিষ্ট নাগরিক ও বিভিন্ন গুরুত্বপূৰ্ণ সংগঠনের প্রতিনিধি সহ প্রায় সব কয়টি বিরোধী দল রয়েছে। আগামীতে পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলার চালানোর পাশাপাশি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তারা জানান।

Author

Spread the News