রাজীব মজুমদার, ধলাই।
বরাক তরঙ্গ, ১৮ নভেম্বর : দক্ষিণ ধলাইয়ের শেওরারতল খুলিছড়া এলাকার রুকনি নদী থেকে উদ্ধার হওয়া বিবস্ত্র মৃতদেহটি শনাক্ত হল। শেওরারথলের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের ভিবারানি বর্মন বলে শনাক্ত করেন পরিবারের লোকরা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে বেরিয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। ভিবারানি বর্মনের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন থানায় এসে মৃতদেহটি ভিবারানির বলে শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ মৃতদেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
পরিবারের সন্দেহ, কোনও দুষ্টচক্র অপকর্ম সংঘটিত করে প্রমাণ লোপাটের জন্য হত্যা করে মৃতদেহ নদীতে ফেলে দেয়। ধলাই থানার পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট এবং নিবিড় তদন্তের মাধ্যমেই এই রহস্যের প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল মাত্র একমাস আগে একই এলাকার রুকনি নদী থেকে এক কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। গত এক মাসের মধ্যে একই রকম অবস্থায় পরপর দু’টি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে গভীর আতঙ্ক ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে শেওড়ারথল জিপির খুলিছড়ায় রুকনি নদীর বাসন্তীমন্দিরের ঘাটে বিবস্ত্র ওই মহিলার দেহ নদীর মাঝে বালুচরে আটকে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর ছড়িয়ে পড়লেই লোকজনের ভিড় জমে উঠে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যালের মর্গে পাঠায়।


