খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত জেল থেকে বেরিয়ে ফের গ্রামবাসীর তোপের মুখে, উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ

বরাক তরঙ্গ, ১৮ মে : স্ত্রী হত্যার অভিযোগে নয় মাস কারাবাস কাটিয়ে বের হয়ে ফের জনগণের রোষের মুখে পড়লেন এক যুবক। অবশেষে নিজে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। বুধবার সন্ধ্যায় একটি দোকানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটি বোকাখাতের কুরুবাহিরের।

গত ৯ সেপ্টেম্বর বোকাখাতের কুরুবাহির বাসিন্দা অঙ্গনওয়াড়ি পরিদর্শক পাপরি হাজারিকার খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। তাকে তার বাসভবনে নগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। খুনের রাতেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী মানস গাঙ্গুলি। তাকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে একাংশ মহিলা বোকাখাত থানা চত্বর উত্তাল করে তুলে ছিলেন। হত্যার পাঁচ দিন পর বোকাখাত থানায় আত্মসমর্পণ করেন মানস গাঙ্গুলি। হত্যার প্রধান অভিযুক্ত মানস গাঙ্গুলিকে পরে কারাগারে পাঠানো হয়।

সেই সময়েই স্থানীয় মহিলারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে মানসকে জেল থেকে ছাড়া পেলেও কুরুবাহিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তা ছিল নয় মাস আগের কথা। বুধবার সকালে নয় মাসের জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান মানস গাঙ্গুলি। এদিকে মানস গাঙ্গুলির কুরুবাহিতে প্রবেশের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

এ খবরে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বুধবার সকালে মানস গাঙ্গুলি তার কাকা উদয় গাঙ্গুলির বাড়িতে আশ্রয় নিলেও স্থানীয়রা উদয়বাবুর বাড়ি ঘেরাও করে মানসকে গ্রাম থেকে বহিষ্কারের দাবি জানায়। খবর পেয়ে বোকাখাত পুলিশ ও ভিডিপি এসে মানসকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এরপর সন্ধ্যা তাকে বাড়িতে যেতে দেন। বুধবার সন্ধ্যায় বোকাখাতের কংগ্রেস ভবনের কাছে একটি দোকানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন গাঙ্গুলি।

বর্তমানে কুরুয়াবাহি এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছে নিহতের পরিবার। একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে চলমান আইনি প্রক্রিয়া চলা সত্ত্বেও অভিযুক্ত মানস গাঙ্গুলি স্থানীয়দের বারবার চাপের কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

Author

Spread the News