কেএ লস্কর, লক্ষীপুর।
বরাক তরঙ্গ, ১৯ নভেম্বর : পাঠশালার এক ছাত্রীকে শারীরিক নিগ্রহ করে গ্রেফতার হলেন শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষীপুর বিধানসভা চক্রের পাবদা জিপির তিলকা নতুনবস্তিতে। এখানকার ১৪১৮ নং তিলকা নতুনবস্তি এলপি স্কুলের শিক্ষক শামিম আহমেদ চৌধুরী বেশ কয়েকদিন থেকে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছেন। স্কুল ছুটির পর পঞ্চম শ্রেণির দু-তিনজন ছাত্রীকে পড়া বুঝিয়ে দেওয়ার নাম করে তাদের স্কুলে রেখে দেন। এদের মধ্যে একজন ছাত্রীকে শারীরিক হেনস্থা করে আসছেন বলে গ্রামবাসীর তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। ঐ শিক্ষক নাকি পড়ানোর ফাঁকে ছাত্রীদের চোখ বেধে কানামাছি খেলার নাম করে ঐ ছাত্রীর শরীরের নানা জায়গায় হাত দেন বলে সাংবাদিকদের জানান ঐ স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি সুধন্য নমশূদ্র এবং সদস্য প্রতাপ নমশূদ্র।
একই ভাবে আজও এমন ঘটনা ঘটায় নিগ্রহের শিকার মেয়েটি তার মায়ের কাছে এসে ঘটনার কথা খুলে বলে। মেয়েটির মা ঘটনার বিবরণ শুনে কিংকর্তব্য বিমুড় হয়ে যান। পরে প্রতিবেশীর পরামর্শে তিনি পরিচালন কমিটির সভাপতির কাছে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে নালিশ জানান। পরিচালন কমিটির সদস্য এবং গ্রামবাসীরা স্কুলে গিয়ে শিক্ষক শামিম আহমেদকে পাকড়াও করে বিষয়টি প্রশ্ন করেন। ইতিমধ্যে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে কিছু উত্তম মধ্যমও দিয়ে দেন তাকে।
ঘটনার খবর পেয়ে লক্ষীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অভিযুক্ত শিক্ষককে থানায় তুলে আনে। অভিযুক্ত শিক্ষক শামিম আহমেদের বাড়ি হাইলাকান্দি জেলার কাটলিছড়ায় বলে জানা গেছে। তিনি ২০২৩ সালে এই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন। অভিযোগ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তবে এও বলেন, ছাত্রীকে বুঝানোর জন্য পিঠে হাত দেওয়া কি অপরাধ ! এদিকে, পরিবারের তরফে এই শিক্ষককের বিরুদ্ধে এফআইআর দেওয়া হয়েছে। লক্ষীপুর পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে অভিযুক্তকে লক্ষীপুর আদা


