সুদে টাকা নেওয়াই কাল, ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার যুবকের

বরাক তরঙ্গ, ১৪ সেপ্টেম্বর : সুদের টাকা নেওয়া কাল হল সঞ্জীবের। শেষমেশ আত্মহত্যআর পথ অবলম্বন করতে হল তাকে। রংপুর গঙ্গাপাড়ার রাজপথ রোড এলাকার বাসিন্দা সঞ্জীব সাহার (৪০) দেহ একটি নির্মীয়মান ভবনে ঝুলন্ত উদ্ধার হয়।

পরিবারের লোকের অভিযোগ, পাশ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা ঋতম দাশের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা সুদে নেন সঞ্জীব। মাসিক সুদের টাকাও দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যবসা সঠিক না চলায় বিলম্ব হচ্ছিলো টাকা দিতে। মঙ্গলবার রাতে রিতম সঞ্জীবকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। সঞ্জীবের স্ত্রী ও ভাই তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও মারপিট করে রিতম। মারপিটে গুরুতর আহত সঞ্জীব রাতে ঘরে এসে ঘুমিয়ে যায়। সকালে পরিবারের লোকের তাকে খোঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। পরে বাড়িতে নির্মীয়মান দোতলায় গিয়ে দেখতে পান সঞ্জীব গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আরও জানান, সঞ্জীবের ঝুলন্ত মৃতদেহের পাশে পাওয়া গেছে একটি সুইসাইড নোট। প্রাথমিকভাবে তাদের
অনুমান, সঞ্জীব আত্মঘাতী হয়েছেন।

সুদে টাকা নেওয়াই কাল, ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার যুবকের
সঞ্জীব সাহার স্ত্রী সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরছেন ঘটনার বিবরণ।

এদিকে সঞ্জীবের স্ত্রী রুমা সাহা ঘটনার জন্য প্রতিবেশী ঋতম দাস ও তার পরিবারের লোকেদের দায়ী করেন। রুমা জানান, বেশ কিছুদিন আগে ঋতমের কাছ থেকে সঞ্জীব ৯০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। এর জন্য তিনি ঋতমকে সুদও দিয়ে আসছিলেন। মঙ্গলবার রাত এগারোটা নাগাদ ঋতম ফোন করে সঞ্জীবকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। এরপর টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে শুরু করেন মারপিট। এতে সামিল হন ঋতমের বড় ভাইও। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তারা ঋতমের বাড়িতে ছুটে যান। তখন মারপিট করা হয় তাদেরও। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে চলার পর রাত একটা নাগাদ তারা কোনওক্রমে সঞ্জীবকে বাড়িতে নিয়ে যান। সকালে এ ঘটনাটি তাদের নজরে পড়ে। তিনি বলেন, তার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। এর বিচার চাইলেন।

Author

Spread the News