বরাক তরঙ্গ, ২৬ ডিসেম্বর : ভারত সরকারের ক্ষুদ্র, লঘু ও মধ্যম উদ্যোগ বিভাগ (এমএসএমই), গুয়াহাটি কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং শিলচর কেশব স্মারক সংস্কৃতি সুরভী (সেবা ভারতী, দক্ষিণ আসাম প্রান্ত)-এর যৌথ আয়োজনে তাপাং শীতলপাটি ক্লাস্টারের পিএম বিশ্বকর্মা সুবিধাভোগীদের জন্য একদিনের বিশেষ পণ্য বাজারজাত ও বাণিজ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় শীতলপাটি শিল্পীদের পণ্যের বাজারজাতকরণ, লাভবৃদ্ধি এবং চাহিদা বাড়ানোর কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ডীন প্রফেসর রামানন্দ সিংহ এবং রামচন্দ্র দাস। কেশব স্মারক সংস্কৃতি সুরভীর পক্ষ থেকে ক্লাস্টারের ইনচার্জ সজলকুমার দেব এবং গোপাল চন্দ অংশ নেন। আগত বিভিন্ন বক্তা স্থানীয় শীতলপাটি শিল্পীদের কাজের লাভের বিভিন্ন দিক, পণ্যের চাহিদা বাড়ানোর উপায় এবং বাজারজাতকরণের কৌশল উন্নয়ন নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। ভবিষ্যতে এই কুটিরশিল্পীগণ তাদের প্রতিভা জনসমক্ষে তুলে ধরে আর্থিক সমৃদ্ধি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে পারেন, সে বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা হয়।আয়োজকদের পক্ষ থেকে এমএসএমই-শিলচর অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সুমিত গুন্ডাইয়া স্বাগতবক্তব্য রাখেন, যখন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর স্বপ্নিল দেশমুখ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এমএসএমই-গুয়াহাটি অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জিসি দাস প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনার সুফল লাভের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। পরিশেষে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় হয় এবং শীতলপাটি কুটিরশিল্পকে দেশ-বিশ্বের বাজারে পৌঁছে দেওয়ার নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। স্থানীয় শিল্পীরা এতে ভবিষ্যতে ব্যাপক লাভবান হবেন বলে মত প্রকাশ করেন।সংস্থার পক্ষ থেকে শ্রী সজল কুমার দেব উপস্থিত অতিথিদের কাছে শীতলপাটি ক্লাস্টারের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন এবং ক্লাস্টারের কমন ফ্যাসিলিটি সেন্টারে নির্মিত শীতলপাটি দিয়ে তৈরি অফিস ব্যাগ প্রদান করেন। সংস্থার স্বাস্থ্য সঞ্চালক গোপাল চন্দ উপস্থিত সকলকে সন্মানিত করেন। এই উদ্যোগ শিলচর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটি শিল্পকে নতুন উত্থানের পথ দেখিয়েছে।


