বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত, আহত তিন শতাধিক
৪ আগস্ট : সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন এবং কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার একজন পুলিশ সদস্যসহ এ পর্যন্ত ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। রোববার সংঘর্ষে এ সব হতাহতের ঘটনা ঘটে। রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পুলিশ সুপার এনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
পুলিশ সদর দফতর থেকে বলা হয়েছে, এ সময় বহু থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিএমপির যাত্রাবাড়ি ও খিলগাঁও থানা, টাঙ্গাইলের গোড়াই হাইওয়ে থানা, বগুড়া সদর, দুপচাচিয়া, শেরপুর থানা এবং নারুলী পুলিশ ফাঁড়ি, জয়পুরহাট সদর থানা, কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা, রংপুরের গঙ্গাচড়া, মিঠাপুকুর, পিরগাচা, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ ও গংগচড়া, বি-বাড়িয়ার সদর ও আশুগঞ্জ থানা, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, হবিগঞ্জের মাধবপুর ফাঁড়ি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ অফিস, নারায়নগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জের এসপির কার্যালয়, দিনাজপুরের সদর থানায় আক্রমনের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সারা দেশে সংঘাত-সংঘর্ষ, গুলি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শতাধিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ সদস্য। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া দিনভর সংঘর্ষে নরসিংদীতে ৮ জন, ফেনীতে ৯ জন, লক্ষ্মীপুরে ১১ জন, সিরাজগঞ্জে ২২ জন (১৩ পুলিশসহ), কিশোরগঞ্জে ৪ জন, রাজধানী ঢাকায় ৬ জন, বগুড়ায় ৫ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৫ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৫ জন, কুমিল্লায় ৩ জন (একজন পুলিশ সদস্য), শেরপুরে ২ জন, জয়পুরহাটে ১ জন, হবিগঞ্জে ১ জন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১ জন, সাভারে ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়াও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসাধীন কয়েকজন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
খবর : দৈনিক ইনক্লাব পত্রিকা।